ভিসা আবেদন নিয়ে চরম ভোগান্তি পড়েছেন পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশটিতে ঢুকতে অনুমতি পাওয়ার দীর্ঘসময় পরেও পরিবারের সদস্যদের ভিসা আবেদন নিয়ে নানা জটিলতায় ভুগতে হচ্ছে তাদের। দেশ থেকে সরাসরি পর্তুগালের ভিসা আবেদনের সুযোগ নেই। ভারতে গিয়ে ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই, দেশে অবস্থিত ভিএফএস’র মাধ্যমে ভিসা আবেদনের সুযোগ চান প্রবাসীরা। তাদের অনুরোধ আমলে নিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপের আশাবাদ জানিয়েছে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী রাজধানী লিসবন, বন্দরনগরী পোর্তোসহ পর্তুগালের বিভিন্ন শহরে বা অঞ্চলে বসবাস করেন। চাকরি ছাড়াও দেশটিকে অনেকেই নিজস্ব ব্যবসায়িক কার্যক্রমসহ বড় কমিউনিটি গড়ে তুলেছেন। আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় অনেকেই তাদের পরিবারের লোকজন পর্তুগালে নিয়ে গেছেন। অনেকেই নিজেদের স্ত্রী সন্তান বা বৃদ্ধ পিতামাতাকে পর্তুগালে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
ভারতের সীমান্ত বন্ধ, দিল্লির পর্তুগাল দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ ও অনলাইন আবেদনের সুযোগ বন্ধ থাকায় প্রবাসীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। পর্তুগাল থেকে অনুমতি পাবার পরেও ভিসা আবেদন করতে না পারায় বড় ধরনের বিপদে পড়েছে প্রায় পাঁচশত প্রবাসী ও তাদের পরিবার।
এদিকে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হলেও ঢাকায় ভিসা আবেদনের বিষয়টি বাস্তবায়নে আশাবাদী বাংলাদেশ দূতাবাস। এ জন্য প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহসহ বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।এদিকে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হলেও ঢাকায় ভিসা আবেদনের বিষয়টি বাস্তবায়নে আশাবাদী বাংলাদেশ দূতাবাস। এ জন্য প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহসহ বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।