আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গানজায় আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও ৪০ জনের বেশি মানুষ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজারবাইজানের জেনারেল প্রসিকিউটর অফিসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ট্রেন্ড নিউজ, এপি, এএ ডট কমসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে গানজা শহরের কেন্দ্রস্থলে চালানো এ হামলায় ২০টি মতো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। হতাহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে বর্তমানে কাজ করছে জেনারেল প্রসিকিউটর অফিস।
এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সহকারী ও পররাষ্ট্র বিভাগের প্রধান হিকমাত হাজিয়েভ। এক টুইটে তিনি বলেন, ‘জরুরি সেবা দ্বারা ধ্বংসের ধ্বংসাবশেষ থেকে নাগরিকদের বাঁচানো অব্যাহত রয়েছে।’
হিকমাত হাজিয়েভ বলেন, ‘গানজায় বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে আর্মেনিয়ার বিশ্বাসঘাতক ও নিষ্ঠুর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরাজয়ের মুখে আর্মেনিয়ার রাজনৈতিক-সামরিক নেতৃত্বের দুর্বলতা ও হতাশার লক্ষণ। বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে এটি ইচ্ছাকৃত এবং নির্বিচারে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘গানজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আর্মেনিয়ার কাপুরুষোচিত ও নৃশংস হামলায় প্রমাণ করে তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যার নীতি ধারণ করে। আর্মেনিয়াকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।’
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে গানজা শহরে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০ জনের বেশি আজেরি বেসামরিক লোক নিহত হন। আহত হন ২০ জনের মতো। শহরটিতে ৩ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা রয়েছে।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইতোমধ্যে আর্মেনিয়ার দখলে থাকা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জাব্রাইল জেলাসহ কয়েকটি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে আজারবাইজান। গত ২৭ বছর ধরে এসব এলাকা আর্মেনিয়া দখল করে রেখেছিল।
প্রায় চার দশক ধরে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ চলছে। নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এটি এখনো আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয় দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তারা দুটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়।