শেরপুরে যৌন নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়েছেন এক কলেজছাত্রী। গতকাল রোববার দুপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এ ঘটনায় হানিফ মিয়া (৩০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর পরিবার। হানিফ ওই উপজেলার আয়নাপুর গ্রামের আতাব উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়ময়সিংহের হালুয়াঘাটের একটি নার্সিং ইনস্টিটিউটে পড়েন ওই শিক্ষার্থী। তার বাড়ি উপজেলার নাচুনমহরী গ্রামে। গতকাল সকালে পূজার কেনাকাটা করার জন্য তিনি আয়নাপুর গ্রাম থেকে অটোরিকশায় করে শেরপুর যাচ্ছিলেন। অটোরিকশায় চালক ছাড়াও দুইজন যাত্রী ছিলেন। অটো কারারপাড় এলাকায় পৌঁছলে হানিফ ওই অটোরিকশায় ওঠেন। এরপর ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। এ সময় অটোরিকশা চালককে অটো থামাতে বললেও চালক থামাননি। এক পর্যায়ে নিপীড়নের মাত্রা বেড়ে গেলে ওই ছাত্রী চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু তার ডাকে কেউ এগিয়ে আসেনি।
এ সময় উপায় না পেয়ে ওই ছাত্রী চলন্ত অটোরিকশা থেকেই লাফিয়ে পড়েন। এতে পায়ে গুরুতর আঘাত পান তিনি। ওই সময় অভিযুক্তরা অটোরিকশা নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফায়েজুর রহমান জানান, রাস্তায় পড়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। পরে তার পরিচিত এক ব্যক্তি ওই ছাত্রীর বাড়িতে খবর দিলে স্বজনরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে থানায় একজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন তার স্বজনরা। হানিফকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।