হারলেই নিশ্চিত বাদ এমন সমীকরণ সামনে রেখে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের শেষ ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্তদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল তামিম ইকবালের দল। শেষ পর্যন্ত হেরেই গেলেন তারা। চার ম্যাচের মধ্যে তিনটি হেরে ফাইনালে যাওয়ার আগেই বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের দল ছিটকে যায়। ফাইনালে ট্রফি জয়ের লড়াইয়ে নামবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শান্ত। আগামী ২৪ তারিখ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলার মধ্যেই বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে চলছিল তামিম-শান্তর ফাইনালে যাওয়ার লড়াই। খেলা ১৫ ওভার না পেরোতেই শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। টানা ৪০ মিনিটের বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে ১৫৫ মিনিট (প্রায় আড়াই ঘণ্টা। এরপর মাঠকর্মীদের প্রচেষ্টায় আবারও খেলা শুরু হলে বোলিংয়ে ঝড় তোলেন তামিম একাদশের সাইফউদ্দিন। এমন ম্যাচে বৃষ্টির পর সাইফউদ্দিনের আগুন ঝরা বোলিংয়ে শান্তদের ১৬৫ রানের মধ্যে আটকে রাখে তামিমের দল। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সাইফউদ্দিনের আগুণঝরা বোলিং বিফলে যায়।
বৃষ্টির জন্য ম্যাচে ওভার কমে দাঁড়ায় ৪১। অবশ্য শান্তরা এই ওভারগুলোও শেষ করতে পারেননি। ৩৯ ওভার তিন বলে শেষ হয় তাদের ইনিংস। ম্যাচে ৮ ওভার তিন বলে মাত্র ২৬ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। দুর্দান্ত বোলিং করেন মোস্তাফিজও। ৮ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। এই দুই পেসার মিলেই শান্তদের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দেন। এই বৃষ্টিই যেন পোয়াবোরো সাইফউদ্দিনের জন্য। আগে মাত্র এক উইকেট পাওয়া এই অলরাউন্ডার বোলার বৃষ্টির পর নেন আরও চার উইকেট। তারপর মাটিতে সিজদা দিয়ে করেন উদযাপন।
শান্তর দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন মুশফিক। এ ছাড়া আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। শুরুতেই তিন উইকেট হারানোর পর আফিফ-মুশফিক খেলার হাল ধরেন। হাফ সেঞ্চুরির পর মুশফিক আউট হলে ভাঙে দুজনের জুটি। দুজনের জুটি থেকে আসে ৯০ রান। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তাদের ইনিংস। ফলে বৃষ্টি আইনে তামিমদের সামনে টার্গেট ১৬৪ রানের।
টার্গেট খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় তামিম একাদশ। তামিম ব্যাট হাতে রুখে দাঁড়ালেও অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত জয় পাওয়া হয়নি। সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন তামিম। ২৯ রান করেন মোহাম্মদ মিথুন। ২২ রান আসে মাহিদুল অঙ্কনের ব্যাট থেকে। নাজমুল একাদশের হয়ে তাসকিন আহমেদ একাই নিয়েছেন ৪টি উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আল আমিন, আবু জায়েদ, নাসুম আহমেদ এবং সৌম্য সরকার।