মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৮ মাস আন্তর্জাতিকভাবে পবিত্র ওমরা পালন বন্ধ ছিল। আগামী রোববার (১ নভেম্বর) থেকে ফের চালু হতে যাচ্ছে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের এ মাধ্যম। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শর্তসাপেক্ষে ও সীমিত পরিসরে ওমরা পালনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসলমানগণ। তবে, এবার খরচ বাড়ছে এ আনুষ্ঠানিকতায়।
বাংলাদেশি বিভিন্ন হজ অ্যাজেন্সির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৮ মাস বন্ধ রাখার পর নতুন করে ওমরা পালনের অনুমতি দিলেও সৌদি সরকার নানা শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এসব শর্তের কারণে ওমরা পালনে ইচ্ছুকদের খরচ বেড়ে যাবে।
যদিও ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ওমরার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তবে সৌদিতে অবস্থিত দেশিয় হজ অ্যাজেন্সির মালিকরা বলছেন, তাদের কাছে সৌদি সরকার কর্তৃক নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শর্ত মানতে বলা হয়েছে। এবং শর্তের ফিরিস্তি পাঠিয়ে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
সৌদি সরকারের আপাত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব বয়সের মানুষ এখন ওমরা পালন করতে যেতে পারবেন না। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৫০ এর মধ্যে, তারাই পাবেন সুযোগ। ৫০ জনের একটি দল করে ওমরা পালনের জন্য যেতে হবে। সৌদি আরবে গিয়েই তাদেরকে ৭২ ঘণ্টা কোয়ারেন্টিতে থাকতে হবে। নির্দিষ্ট অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করেই ওমরাহ পালনে অনুমতি প্রদান করা হবে। হোটেলের এক রুমে দুজনের বেশি থাকতে পারবেন না। ওমরাহ প্যাকেজের আওতায় খাবারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
এজেন্সির মালিকরা বলছেন, এসব শর্ত মানতে গিয়ে ওমরাহ হজের খরচ আগের তুলনায় বাড়বে। এসব শর্ত মেনে ও বেশি টাকা খরচ করে ওমরাহ পালনে মানুষ যাবেন কি না- সেটি এখন প্রশ্ন।
করোনা মহামারির আগে মক্কা ও মদিনায় আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষে ওমরা পালনে যাওয়া ৪ যাত্রীকে রাখা হতো। তাছাড়া যাত্রীরা নিজেদের মতো করে সীমিত অর্থে খাবার কিনতে পারতেন। কিন্তু শর্তারোপের ফলে তা সম্ভব হবে না। অপরদিকে সৌদি রুটে সীমিত সংখ্যক ফ্লাইট চলাচলের কারণে টিকিটের দাম প্রায় দ্বিগুন। ফ্লাইটের সংখ্যা না বাড়লে এবং ভাড়া না কমানো হলে সেটিও ওমরা হজ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত হবে। ফলে জনপ্রতি খরচ আগের তুলনায় অনেক বাড়বে।
জনপ্রতি আনুমানিক কত টাকা খরচ হতে পারে- জানতে চাওয়া হলে অ্যাজেন্সি মালিকরা এখন পর্যন্ত কোনো প্যাকেজই চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান।
