সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে আবির হোসেন বাবু (২৮) নামে এক যুবককে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুঁলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের নীলকণ্ঠপুর গ্রামে গতকাল সোমবার রাতের কোনো এক সময়ে এ ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের পর ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত বাবু নীলকণ্ঠপুরের বাসিন্দা আব্দুর রহিমের ছেলে। পুলিশ বলছে, ‘হত্যার পর লাশ গাছে ঝুঁলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আলমত দেখে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে না।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান জানান, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাঁশতলা বাজারে চায়ের দোকানে ছিল বাবু। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তার। তিনি বলেন, ‘বাবুর হাত ও পায়ের নখে রক্ত রয়েছে। তার ঘরের ১০০ গজ দূরে পুকুর পাড়ে গাছের ডালে তারই স্ত্রীর ওড়না গরায় পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে হত্যাকারীরা। সকালে ঘটনাটি স্থানীয়রা দেখার পর পুলিশকে অবহিত করা হয়।’
বাবুকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীনও। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তি দাবি করেছেন।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মরদেহের অণ্ডকোষে ও পায়ের নখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুঁলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছি। নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন এ ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’