নির্বাচনী রণক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত রাজ্যগুলোতে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পোর্টল্যান্ড, ওরেগনে প্রতিটি ভোট গণনা করার দাবিতে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠেছে। পরে আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনী ন্যাশনাল গার্ড বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিক্ষোভ থেকে কিছু মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে সিটি সেন্টারে কিছু দোকানের জানালা ভাঙচুর করেছে। একে দাঙ্গা বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে অ্যারিজোনায় ট্রাম্পের পক্ষে পড়া ভোট গণনা করা হবে না- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়ার পর ট্রাম্পের সমর্থকেরা ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নেয়। মেরিকোপা কাউন্টির একটি ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে রিপাবলিকান সমর্থক বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেওয়ার পর ভোট গণনা বন্ধ করবে কিনা সেই দ্বিধায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
অনেক বিক্ষোভকারী ভোটকেন্দ্রে ঢুকে পড়ার পর তাদের আবার বাইরে বের করে আনা হয়। কর্তৃপক্ষ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ডাকলেও গণনাকারীরা তাদের গণনা বন্ধ করেনি।
দুই যুগ ধরে রিপাবলিকানের সমর্থনে থাকা অ্যারিজোনার ফল কি হবে তা এখনো ধারণা করা যাচ্ছে না। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত মেরিকোপা কাউন্টির ৮২ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে, যেখানে জো বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন। এখনো ৪ লাখ ভোট গণনা বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মিনিয়াপোলিসে দুই শতাধিক বিক্ষোভকারী রাস্তা দখল করলে সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, বিক্ষোভকারীরা ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ভোট বন্ধের আহ্বানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিলেন। একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া এবং শিকাগোতে।
ডেট্রয়েট শহরে ট্রাম্প সমর্থকরা ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হয়ে “ভোট গণনা বন্ধ করো” বলে স্লোগান দিতে থাকে। সেসময় জানালা ভাঙচুর করে তারা। অ্যারিজোনার ফিনিক্সেও একই ধরনের ছোটখাটো বিক্ষোভ হয়েছে।
এদিকে ফক্স নিউজের হিসাব অনুযায়ী, ২৬৪টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট নিয়ে চূড়ান্ত বিজয়ের কাছাকাছি বাইডেন। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেক্টোরাল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের জন্য লড়েছেন প্রার্থী দু’জন। জয় পেতে দরকার দুই-তৃতীয়াংশ ইলেক্টোরাল, অর্থাৎ ২৭০টি।
তবে নির্বাচনে নিজের জয় দাবি করে গুরুত্বপূর্ণ চারটি অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনার ওপর মামলা করেছেন ট্রাম্প শিবির। ফলে নির্বাচনী ফল প্রকাশ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন জটিলতা।