ডেস্ক রিপোর্ট : ওয়েল’সের এক সময়কার সামরিক ক্যাম্প যা বর্তমানে এসাইলাম প্রার্থীদের আশ্রয় শিবির হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেখানে আশ্রয় প্রার্থীদের কোরোনার “উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকি”রয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

হ্যাভেল দ্যা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য বোর্ড অভিযোগ করেছে যে ,দক্ষিণ-পশ্চিম ওয়েলসের পেনালি সামরিক প্রশিক্ষণ শিবির নেই কোনো পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা। এই শিবিরটি গত সেপ্টেম্বরে এসাইলাম প্রাথীদের আবাসনের জন্য নির্ধারণ করে হোম অফিস। স্বাস্থ্য বোর্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ গত ৪ নভেম্বর পেনালির শিবিরের অবস্থার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে হোম অফিসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি কোবিড -১৯ এর সময় আশ্রয় প্রার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন। । জবাবে হোম অফিস বলছে তারা ভাইরাস মোকাবেলায় জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে যা সকলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবে।
কিন্তু এই চ্যারিটি সংস্থার দাবি, প্রায় ২০০ জনের বেশি আশ্রয়প্রার্থী লোককে এই শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে যাদের কোনো ধরণের পরীক্ষা করা থেকে বিরত রয়েছে।
১৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য বোর্ডের সুরক্ষা কমিটির জরুরী সভার আগে স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা প্রমান পেয়েছেন যে হোম অফিস আশ্রয় শিবিরের পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যাপারে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত। নথিপত্রে বলা হয়েছে যে পেনালি ক্যাম্পে প্রায় ২০০ লোকের আগমনের বিষয়ে স্বাস্থ্য বোর্ডকে মাত্র দুই দিনের নোটিশ দেওয়া হয়ে। ওয়েলশ সরকার বলেছে যে তারা তাদের প্রস্তুতির জন্য আরও বেশি সময় দেওয়ার হোম অফিসকে অনুরুধ করে। , তবে হোম অফিস তা প্রত্যাখ্যান করায় উপযুক্ত জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় নি। হোম অফিসে তাদের চিঠিতে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রধান মারিয়া ব্যাটল এবং স্টিভ মুরকে সতর্কক রে বলেন : “আমরা এই শিবিরের সকল আশ্রয়কারী এবং কর্মীদের জন্য কোবিড -১৯ এর সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করে গাইডেন্স অনুযায়ী পরামর্শ এবং সহায়তা দিয়েছি । তাছাড়া টিটিপি [টেস্ট ট্রেস প্রটেক্ট] সার্ভিস সরবরাহকারী এজেন্সিগুলির সাথে পরামর্শ করে কবিড ১৯ এর মতো সংক্রামক রোগের সুরক্ষা হাতে নিয়েছি।” স্বাস্থ্য বোর্ড কর্তৃক প্রস্তুত একটি ঝুঁকিপূর্ণ রেজিস্টারে বলা হয়েছে যে “হোম অফিস দ্বারা সরবরাহ করা অপর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার কারণে কভিদের লক্ষণজনিত কেসগুলি সনাক্ত করতে বেশ বেগ পেতে হবে। তাছাড়া এখানে আসা অস্রুকরিরে কোনো ধরণের ১৪ দিনের সেলফ আইসোলেশন রুল না মেনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আনা হয় । স্বাস্থ্য বোর্ড কর্তৃক দেয়া ১৪ দিনের কোরানটাইনের সময় হোম অফিস আমলে নেয় নি।
হেলেন বামবার ফাউন্ডেশনের ডাঃ জিল ও’লারি, যিনি নির্যাতন ও পাচারের শিকারদের নিয়ে কাজ করেন, বলেছেন যে অনেক আশ্রয়প্রার্থীর “জটিল পিটিএসডি সহ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য প্রয়োজন রয়েছে যা এখানে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। তিনি বলেন, আশ্রয়প্রার্থীদের যারা নিজের রাষ্ট্রীয় মিলিটারি দ্বারা নির্যাতন থেকে বেঁচে যাওয়ার জন্য এখানে এসেছেন।কিন্তু এটা ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে অনুপযুক্ত এবং পুনর্বিবেচনা করা দরকার রয়েছে। তাছাড়া এখানে থাকার ব্যবস্থা এবং সেই সাথে ভাগ করে নেওয়া বাথরুমের গোপনীয়তার ঘাটতি রয়েছে। যা যৌন সহিংসতায় থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না ।
হোম অফিস নিশ্চিত করেছে যে পেনালি ক্যাম্পের প্রত্যেকে তাদের আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। আশ্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান ব্যাকলগ -এসাইলিম আবেদন সাম্প্রতিক কমে যাওয়া সত্ত্বেও – তাদেরকে শেষ পর্যন্ত কয়েক মাস ধরে এখানে আটক থাকতে হবে।