যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা আগামী ১১ ডিসেম্বরে করোনার টিকা পেতে পারেন। দেশটির টিকাদান কর্মসূচির প্রধান মনসেফ স্লাউয়ি এ কথা জানিয়েছেন বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত শুক্রবার বলেছে, তারা আগামী ১০ ডিসেম্বর টিকার অনুমোদনসংক্রান্ত একটি বৈঠকে বসবে।
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনসেফ স্লাউয়ি জানান, অনুমোদন পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টিকাদান কেন্দ্রে টিকা পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাই আশা করা যাচ্ছে, অনুমোদনের পরদিনই বা দুই দিনের মধ্যেই টিকা দেওয়া শুরু হবে। সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে ১১ বা ১২ ডিসেম্বর।
যুক্তরাষ্ট্রের আগেই ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন দিয়ে দিতে পারে যুক্তরাজ্য। এ জন্য আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে (এনএইচএস) প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। গতকাল রোববার দ্য টেলিগ্রাফ সাইট এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান।
সরকারের একাধিক সূত্রের বরাতে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এ সপ্তাহেই টিকার অনুমোদন মিলে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রকেরা টিকার আনুষ্ঠানিক মূল্যায়ন শুরু করতে চলেছেন।
অবশ্য যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রথম টিকা দেওয়ার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাজ্যের টিকা দেখভালের দায়িত্বে থাকা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) ফাইজারের টিকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন। তাদের টিকার চূড়ান্ত তথ্য মূল্যায়নে যত দিন সময় লাগবে, তা নিতে পারে।
জার্মানিও আগামী মাসে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু করতে পারে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন্স স্প্যান জানিয়েছেন, এ বছর ইউরোপে একটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হবে বলে আশা করা যায়। টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার কথা বলেছেন তিনি। দেশটি বিভিন্ন চুক্তি করে ৩০ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানা গেছে।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ গতকাল বলেছেন, জানুয়ারি মাস থেকে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করবে দেশটি। তিন মাসের মধ্যে দেশটির মোট জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশের জন্য টিকা নিশ্চিত করা হবে।
পেড্রো বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে স্পেন ও জার্মানি সম্পূর্ণ টিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছে। স্পেনে আগামী জানুয়ারি মাসে টিকা দেওয়ার জন্য ১৩ হাজার টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত আছে।