সন্তান হারানোর যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করলেন ব্রিটেনের ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান মার্কল। চলতি বছরেরই ঘটনা। জুলাইয়ের এক সকালে প্রথম সন্তান অর্চির সঙ্গেই ছিলেন মেগান। হঠাৎ করেই পেটে অহস্য যন্ত্রণা শুরু হয়। দ্য নিউ হয়র্ক টাইমস–এর একটি প্রতিবেদনে প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী লেখেন, ‘যন্ত্রণার চোটে ছেলেকে নিয়ে মাটিতে পড়ে যাই। তখন অর্চিকে আঁকড়ে ধরেছিলাম, বুঝতে পারছিলাম, দ্বিতীয় সন্তানকে হারাচ্ছি! তবুও গান গেয়ে দু’জনেরই মন ভোলানোর চেষ্টা করছিলাম।’
সন্তান হারানোর যন্ত্রণা কাটিয়ে কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব, হাসপাতালের বেডে শুয়ে তাই ভাবছিলেন মেগান। পাশে বসে কাঁদছিলেন হ্যারি, প্রতিবেদনে বলেন তিনি। একান্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা জনসমক্ষে ব্যক্ত করার রীতি নেই ব্রিটেনের রাজপরিবারে। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর হ্যারির বড়ভাই উইলিয়াম এবং তাঁর স্ত্রী কেট টিভি ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একটি কথাও বলেননি! ব্রিটেনের ‘সভ্য’ দেশে যেখানে সন্তান হারানোর মতো ঘটনা নিয়ে আজও ছুৎমার্গের শেষ নেই, সেখানে রাজপরিবারের সদস্য নিজের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করছেন সংবাদমাধ্যমে, এদিক দিয়ে মেগানের এই প্রতিবেদনকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনি লেখেন, ‘সন্তান হারিয়ে আমি আর আমার স্বামী শুধু একটা কথাই ভাবছিলাম, ঘরভর্তি ১০০ জন মহিলার মধ্যে অন্তত ১০ থেকে ২০ জন মহিলা এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী। কিন্তু কেউ এই অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে রাজি নন। যেন কথা বলাই নিষিদ্ধ, লজ্জার বিষয়! নিজের ভিতরেই গুমরে মরছেন তাঁরা।’