আনোয়ার হোসেন রনি, ছাতক প্রতিনিধি: ছাতক উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও খুরমা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের হাতে ভাঙ্গা রাস্তা নিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস করায় অপরাধে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে যুবক লাঞ্চিত হয়েছেন। যুবককে ডেকে নিয়ে লাঞ্চিত ও মারপিট করায় এ ঘটনায় উপজেলা জুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় খুরমা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদভবনে দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। সে ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত,সফিক উল্লাহর ছেলেকামিল আহমদ(২১)।
জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে জালালপুর থেকে কাঞ্চনপুর গ্রামের একটি ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ফেইসবুকে একটি গঠনমুলক স্ট্যাটাস করেন কামিল আহমদ। পরে স্ট্যাটাসকে ইন্সু করে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের ছোট ভাই শিপলু আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে কামিল আহমদের বড় ভাই সানোয়ারকে ফেইসবুকের লেখা কেটে ফেলার জন্য হুমকি দেয়। কামিল আহমদ ভবিষৎতে আর ভাঙ্গা রাস্তা নিয়ে সামাজিক ফেইসবুকে লেখালেখি করবেনা এ মর্মে তার বড় সানোয়ার চেয়ারম্যানের ছোট ভাই শিপলুআহমদকে প্রতিশ্রæতি দেন।
গত রোরবার সন্ধ্যায় কামিল আহমদ একই গ্রামের বাদশা মিয়ার সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদে যান। এসময় ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে নিচ তলায় ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ তার অফিসে বসা ছিলো। কামিল আহমদকে দেখা মাত্র তিনি অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এতে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয়রা সুর চিৎকার শুনে এগিয়ে আসে। পরে বাদশা মিয়ার সঙ্গে ইউনিয়ন ভবন দ্বিতীয় তলায় চলে যান কামিল আহমদ। এর পর পর ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ ও তার সহযোগীরা দ্বিতীয় তলায় গিয়ে কামিল আহমদকে একটি কক্ষে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় চেয়ারম্যানের কবল থেকে কামিল আহমদকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদে গত সোমবার রাতে স্থানীয় কাঞ্চনপুর বাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়।সাবেক মেম্বার রমিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সানোয়ার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্টিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ইউপি মেম্বার খালেদ আহমদ,জামাল উদ্দিন,সদর উদ্দিন,হাজী মনোহর আলী,আব্দুল ওয়াহিদ আব্দুল জলিল,হাজি আবুল হোসেন প্রমুখ।এ ব্যাপারে কামিল আহমদ জানান তাকে শিবির ক্যাডার বানিয়ে লাঞ্চিত ও মারপিট করেছেন বলে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে খুরমা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার আনীত অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন সামান্য কথা কাটা-কাটি হয়েছিল এ বিষয়টি নিস্পতি করা হয়। এব্যাপারে থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দীন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।