বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট :: চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সিলেট নগরীর টিলাগড়ে খুন হন কলেজছাত্র অভিষেক দে দ্বীপ। ‘সরস্বতী পূজার টাকা নিয়ে বিরোধ’ থেকে এ খুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস পর আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয়েছে ৯ জনকে। তন্মধ্যে ৪ জন এজাহারনামীয় আসামি। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত।
অভিযুক্তরা হলেন- সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকার গোপলটিলার ২নং রোডের সল্টু রায়ের ছেলে সমুদ্র রায় সৈকত, একই রোডের ৬২/এ বাসার সজল দের ছেলে সৌরভ দে (২১), একই এলাকার রতন দেবের ছেলে পূজন দেব (২৯), শংকর দের ছেলে সাগর দে (২১), সঞ্জয় দে (২৩), শাপলাবাগ সি ব্লকের ২নং রোডের ১৪নং বাসার আক্তারুজ্জামানের ছেলে জুবায়ের হাসান রিমেল (২৩), একই রোডের ৭৬নং বাসার মর্তুজা হোসেনের ছেলে আদনান আহমেদ (২৪), দক্ষিণ সুনামগঞ্জের কান্দিগাঁও গ্রামের ফয়জুল হকের ছেলে শাহরিয়ার কবির ভৌমিক (২৫) ও গোপালটিলা এলাকার সজল দে’র ছেলে সজিব দে (২৩)।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষ বলেন, পুলিশ ঘটনার পর পরই সৈকতকে গ্রেফতার করে। এরপর সঞ্জয় ও হিমেলকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অন্যরা পলাতক রয়েছেন। আলোচিত এই হত্যা মামলায় ২৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। সুরতহাল, ময়নাতদন্ত, রিমান্ডে আসামীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ সাদিপুর এলাকার দীপক দে’র ছেলে অভিষেক দে দ্বীপ গ্রিনহিল স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর টিলাগড়ে ছুরিকাঘাত করা হয় দ্বীপকে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দ্বীপ খুনের পর ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তার বাবা দীপক দে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় ছাত্রলীগকর্মী সমুদ্র রায় সৈকতকে। এছাড়া সৌরভ দে, পূজব দেব ও সাগর দেকেও এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। অজ্ঞাত রাখা ৩-৪ জনকে।