মো: রেজাউল করিম মৃধা: খ্রিস্টান ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস ডে বা বড়দিন।কিন্তু করোনাভাইরস মহামারির কারনে ২০২০ সাল হচ্ছে ব্যাতিক্রমী এক বড়দিনের উৎসব। নেই হইহুল্লোর নেই কোলাহল যার যার ঘরে বসেই এ বছরের বড়দিন পালন করা হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ক্রিসমাসের আগে ব্রিটিশ জনগণকে বেশ কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
যেমন:-
১/ রাতে অবস্থান এড়ানো, আত্বীয় বা পরিবার পরিজনের সাথে রাত্রি যাপন না করা। যারযার বাসায় থাকতে বলা হয়েছে।
২/পরিচিত বা আপন লোকজনের সাথে স্বাক্ষাত করার আগে যোগাযোগ না করা।
৩/ একসাথে কম সময় ব্যয় করা। দেখা বিনিময় করে এবং উপহার সামগ্রী দিয়ে বা নিয়ে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া উত্তম হবে।
৪// উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে কম ঝুঁকির জায়গায় ভ্রমণ এড়ানো পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সাথে বিনা প্রয়োজনে যাতায়াত না করা।
৫/ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে একটি ছোট এবং সংক্ষিপ্ত বড়দিন পালন হবে সবার জন্য নিরাপদ।
ইংল্যান্ডের চিফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ক্রিস হুইটি বলেন,”এটি ছোট রাখুন এবং এটিকে স্থানীয় পর্যায়ে রাখুন’”পাশাপাশি দুর্বল লোকদের বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার বিকেলে ডাউনিং স্ট্রিট প্রেস কনফারেন্সে নিয়ম নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কোভিড -১৯-এর পরিস্থিতি ‘আরও খারাপ’ স্বীকার করে মিঃ জনসন বলেছিলেন: ‘যেসব লোক পরিকল্পনা করেছে এবং কেবল তারা চায় তাদের অপরাধ করা ঠিক হবে না।
প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটাতে, আমরা সম্মিলিতভাবে, যুক্তরাজ্য জুড়ে, প্রতিটি স্তরের স্থানিয় সরকার, আপনাকে আগামী দিনের সম্পর্কে কঠোর এবং বিশদভাবে ভাবতে বলছি।
তিনি আরো বলেন “আমরা আইন একই রাখছি তবে আমরা সবাই একই বার্তা পাঠাতে চাই, একটি ছোট ক্রিসমাস একটি নিরাপদ ক্রিসমাস হতে চলেছে এবং একটি ছোট ক্রিসমাস একটি নিরাপদ ক্রিসমাস। ‘যখন আমরা বলি যে পাঁচটি পরিবার পাঁচ দিনের মধ্যে সাক্ষাত করতে পারে তখন আমি তাদের উপর চাপ দিতে চাই এবং এটি লক্ষ্যমাত্রা নয়’।
সরকারে আইন মেনে চলার চেয়ে নিজের বিবেককেই নিজের কাজে লাগাতে হবে। যেখানে জীবন মরণ সমস্যা সেখানে জীবনের ঝুঁকি না নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। তারপরও উৎসব বা বড়দিন এলে আমরা সবাই হয়ে উঠি আনন্দিত, উচ্ছসিত, উৎফল্লিত ।
বড়দিন ছোট পরিসরে পালন করে নিজে সুস্থ্য থাকুন এবং অপরকে সুস্থ্য থাকতে সহযোগিতা করুন। সবাইকে বড়দিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।