মো: রেজাউল করিম মৃধা: কথায় আছে “ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়”। কভিড-১৯ এক মহামারির নাম। এক বিভৎস রুপ। কেই হারিয়েছেন প্রিয়জন , হারিয়েছেন আপনজন প্রিয় বন্ধু কিন্তু শোক সঁইতে না সঁইতে অনেকে হারিয়েছেন প্রিয় কাজটি। চাকরি বা কাজ হারিয়ে অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেকেই আছেন কভিডের আগে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখের দিন কাটাচ্ছেন কিন্তু করোনাভাইরস মহামারি এসে সব লন্ডভন্ড করে ফেলে।
২০১৯ সালের নভেম্বর চীনের উহান শহর থেকে করোনার উৎপত্তি হলেও বিশ্ব ব্যাপী ছড়াত কিছুটা সময় লেগে যায় ২০২০ সালের প্রথম থেকে থমকে যায় পৃথিবী, অসহায় হয়ে উঠে প্রতিটি রাস্ট্র। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০২০ সালের মার্চের মাঝামাঝি ইউকে লক ডাউন দেওয়া হয় । আর এই লক ডাউনের কারনে একের পর এক প্রতিস্ঠান বন্ধ ঘোষনা শুরু হয় বেকার হতে থাকেন হাজার হাজার শ্রমিক।
দি অফিস ফর ন্যাশনাল স্টাটিসটিকস এর গবেষনায় উঠে এসেছে। ব্রিটেনে শতকরা ৬.১ পারসেন্ট শ্রমিক কাজ পরিবর্তন করে নিম্ন মানের কাজ করেছেন। আবার শতকরা ৫.৭ পার্সেন্ট শ্রমিক কাজ হারিয়ে কাজ না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ব্রিটেনে কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারিতে কাজ হারিয়ে ইন্জিনিয়র থেকে,বিন-ম্যান সহ অনেক নিম্ন মানের কাজ করছেন অনেকেই। তবু একটি কাজ পেয়েছেন এটাই বড় তৃপ্তি।
একজন ইন্জিনিয়র জেম্স মার্কস । ইন্জিনিয়র পাশ করে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত একটি প্রতিষ্ঠিত থিয়েটার হলের সাউন্ড ইন্জিনিয়র হিসেবে দক্ষতার সাথে কাজ করে আসছেন। কিন্তু করোনাভাইরস মহামারি তার সুখী জীবনে হতাশা নিয়ে আসে নেমে আসে চরম অনিশ্চয়তা।
২০২০ সালের মার্চের প্রথম লক ডাউনের ফলে থিয়েটার বন্দ হয়ে যায়।চলে যায় সুন্দর কাজটি। দিশে হারা হয়ে কাজ খুঁচতে থাকেন। অবশেষে সেপ্টেম্বর মাসে এসে রাস্তার বিন পরিস্কারের একটি কাজ পান। বিবিসির স্বাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “আমি অনেক ভাগ্যবান যে একটি কাজ পেয়েছি। কিন্তু অনেকে এখনও বেকার কাজ না পেয়ে অনেক কস্টে জীবন কাটাচ্ছেন।কাজ পাওয়াটাই বড় কি কাজ সেটা দেখার সময় এখন নেই”।
এই করোনাভাইরস মহামারি অনেকের জীবনের ধারা পাল্টে দিয়েছে। যোগ্যতানুসারে কাজ তো দূরের কথা যে কোন কাজ পেতেই প্রস্তুত।
সবাই আশা করছেন একদিন কেটে যাবে এই অন্ধকার। আবার আলো নিয়ে আসবে পৃথিবী। সেই সোনালী দিনের অপেক্ষায় আমরা সবাই।