ব্রিটেনে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বড়দিন সামনে রেখে শপিং সেন্টারে মানুষের ঢল, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে বাড়া জ্বরের প্রকোপ পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। ইংল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশই এখন কঠোর বিধিনিষেধের অধীনে রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, দেশজুড়ে তৃতীয় দফা লকডাউন আরোপ এড়ানোর আশা এখনও হারাচ্ছে না তার সরকার।
করোনার রোগীর ভিড়ে ব্রিটেনের বহু হাসপাতালের প্রায় সব শয্যাই ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে। চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে বহু হাসপাতাল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তবে প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, দেশজুড়ে আরেক দফা লকডাউন এড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা।
ব্রিটেনে গত শুক্রবার নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৫০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৪৮৯ জন।
এমন প্রেক্ষাপটে বড়দিনের আয়োজন সংক্ষিপ্ত ও সীমিত রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সবাইকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বক্সিং ডে’র ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে আর নববর্ষের সময় বড় জমায়েত করা যাবে না।
ব্রিটেনের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দৈনিক আমাদের সময়ের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। অর্থনৈতিক ক্ষতির বিবেচনায় লকডাউন আরোপের পথে হাঁটছে না ব্রিটেন। তিনি মনে করেন, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির বড় একটি কারণ মানুষের অসচেতনতা।