যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কাজে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। করোনাভাইরাসের প্রাথমিক উপসর্গ ছিল তার শরীরে। এরপর থেকে ভাইরাসটির গুচ্ছ সংক্রমণ শুরু হয় কাউন্টিজুড়ে। পর পর দুই দফা সংক্রমণে মৃত্যু হয় সাতজনের। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয় ৩০০ জনকে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ওরেগন রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪৭ জন মারা গেছেন। আর করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখের বেশি মানুষ। সম্প্রতি আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে গুচ্ছ সংক্রমণের ঘটনায়। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়েরেন্টিনে আছেন ৩০০ জন।
গুচ্ছ সংক্রমণের ঘটনাটি ঘটেছে একজন ব্যক্তির কারণে। তিনি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে নিজ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। এরপর এক এক করে অসুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ডগলাস কাউন্টির জনস্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তা বব ড্যানেনহোফার এ ঘটনায় এক বিবৃতিতে বলেন, একজন ব্যক্তি কিছুদিন আগে নিজের করোনা উপসর্গে ভোগার কথা জেনেও কর্মস্থলে গিয়েছিলেন। এরপর দুই দফায় ওই কাউন্টিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তির কারণেই দুই দফা গুচ্ছ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা কল্পনাও করতে পারব না যে এসব মানুষ এখন কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
যে ব্যক্তির মাধ্যমে করোনার গুচ্ছ সংক্রমণ ছড়িয়েছে তার নাম-পরিচয় বা কোথায় কাজ করেন, তা প্রকাশ করেনি ডগলাস কাউন্টির জনস্বাস্থ্য বিভাগ।
কোভিড-১৯ রোগে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার ওপরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আজ শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৯১ লাখ ১১ হাজার ৩২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষের।