যুক্তরাষ্ট্র যেতে আগ্রহী সব ব্রিটিশ যাত্রীদের জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু ব্রিটিশ নাগরিকই নয়, যুক্তরাজ্য থেকে যে কেউ মার্কিন মুলুকে যেতে চাইলে তার জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)-এর এক বিবৃতিতে নতুন এ নিয়মের কথা জানানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
নতুন এ নিয়ম আগামী সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সিডিসি।
এদিকে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের আরও একটি নতুন স্ট্রেইন (বৈশিষ্ট্য) শনাক্ত হয়েছে, যাতে দুই জন আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এ তথ্য জানিয়েছেন। লন্ডন এবং উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের আক্রান্ত ওই দুই ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে এসেছে এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। নতুন স্ট্রেইনের এই করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এ ঘটনার পর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত ১৪ দিনে যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভ্রমণ করেছেন কিংবা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের অতি সত্ত্বর কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসের এই বৈশিষ্ট্য বা ভ্যারিয়ান্টটি দ্রুত ছড়ায় এবং দেশটির অনেক এলাকায় এর সংক্রমণও বেশি দেখা যাচ্ছে। এই ভ্যারিয়ান্টটি নিয়ে এখনও বিশ্লেষণ চলছে। তবে এ পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে এটি অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবারই প্রথমবারের মতো এটি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়।
নতুন এই ভ্যারিয়ান্টটির সঙ্গে এর আগে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন বৈশিষ্ট্যের আরেকটি ভাইরাসের কিছুটা মিল রয়েছে। যদিও ভাইরাসটি দুটি আলাদাভাবে বিবর্তিত হয়েছে। দুই ভাইরাসেরই একটি নির্দিষ্ট অংশে এনফাইভজিরো ওয়ানওয়াই নামে একটি পরিবর্তন হয়েছে। ওই অংশটি দিয়ে ভাইরাসগুলো মানুষের দেহের কোষকে আক্রান্ত করে।