ভারতের পার্লামেন্টে সেন্ট্রাল হলের অভ্যন্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন আম আদমি পার্টির (এএপি) দুই আইনপ্রণেতা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর ৯৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে স্লোগান শোনেন মোদি। নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এএপি’র আইনপ্রণেতা সঞ্জয় সিং এবং ভগত মান। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রায় এক মাস ধরে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির সীমান্তে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন ভারতের কৃষকরা। এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে আইন বাতিলের কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। কৃষক বিক্ষোভে সমর্থন দিচ্ছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল।
শুক্রবার পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে অটল বিহারি বাজপেয়ীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান নরেন্দ্র মোদি। ওই সময় ‘কৃষকবিরোধী কালো আইন প্রত্যাহার করো’ বলে স্লোগান দেন এএপি’র দুই আইনপ্রণেতা। এ ঘটনার একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন এএপি এমপি সঞ্জয় সিং।
ভিডিওতে এএপি’র দুই এমপিকে স্লোগান দিতে দেখা গেলেও আরও কয়েক জনকে নরেন্দ্র মোদির সামনে দাঁড়াতে দেখা যায়। স্লোগান শুনলেও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ শেষেই সেন্ট্রাল হল ছেড়ে যান নরেন্দ্র মোদি। তারপরও স্লোগান চালিয়ে যান এএপি’র দুই আইনপ্রণেতা।
পরে সঞ্জয় সিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘পার্লামেন্টে অধিবেশন ডাকা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সামনে আমাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আজ সেন্ট্রাল হলে অনুষ্ঠানের সময় আম আদমি পাার্টির এমপি ভগত মান এবং আমি কালো আইন প্রত্যাহারের আবেদন করি। লাখ লাখ কৃষক বিক্ষোভ করছেন। নতুন কৃষি আইন শিল্প মালিকদের পক্ষে আর কৃষকদের বিরুদ্ধে। আমরা বিক্ষোভ সমর্থন করছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন তিন কালো আইন প্রত্যাহার করা হোক।’
উল্লেখ্য, ভারত সরকার সম্প্রতি কৃষি আইন বদল করে করপোরেট চাষ ও কৃষকদের কাছ থেকে যত খুশি ফসল কেনার অনমুতি দিয়েছে। করপোরেশনগুলো কৃষকদের আগাম টাকা দিয়ে কী চাষ করতে হবে সেটাও বলে দিতে পারবে। কৃষকদের ধারণা, এর ফলে তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে। তারা শেষ পর্যন্ত করপোরেশনের দাসে পরিণত হবেন। সুবিধা হবে বড় সংস্থাগুলোর। কয়েক বছরের মধ্যে কৃষিতে তাদের একচেটিয়া বাজার প্রতিষ্ঠা হবে।