মো: রেজাউল করিম মৃধা : ব্রিটেনজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারির তান্ডব দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। আতংকিত জনগন, সরকার সহ সমগ্র ব্রিটেনবাসী। অতিরিক্ত করোনা রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে এনএইচএস এবং হাসপাতালগুলো । করোনা রোগী এতটাই বাড়ছে যেখানে তিল পরিমান ঠাঁই নাই হাসপাতালে।
ব্রিটেনের বাংলাদেশ কমিনিউটির ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ , কমিউনিটি, সাংস্কৃতিক কর্মী , সাংবাদিক সব অনেকেই নতুন করোনাভাইরসে আক্রান্ত হয়েছেন । অবস্থা অতিরিক্ত খারাপ হলে এম্বুল্ন্সের জন্য কল করে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও অপরপ্রান্ত থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায় না।করোনার প্রথম ধাপের চেয়ে অনেকগুণে বেশী কল গ্রহণ করছে লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ।
গত ২৬ ডিসেম্বর প্রায় ৮০০০ কল রিসিভ করে সংস্থাটি। যা যেকোন সময়ের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। করোনার প্রথম ধাপের চেয়ে এখন রোগীদের সংখ্যা বেশি থাকায় কল পাচ্ছে লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, এমনটাই বিবিসিকে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। অতিরিক্ত চাপ থাকায় রোগীদের ৬ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এলএএস জানিয়েছে “ সাময়িক সমস্যা হচ্ছে তবে বিলম্ব কমাতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন । এলএএস অনুরোধ জানিয়েছে, যাদের জীবনের হুমকি রয়েছে এমন প্রয়োজনে যেন ৯৯৯ একল করা হয় । একই সাথে সম্ভব হলে ১১১ ব্যবহার করতেও জনগনকে অনুরোধ করা হয়েছে। নতুন করোনারভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় এই কল বেড়েছে বলে মনে করে লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস।
শুধু লন্ডন নয় ব্রিটেনের প্রায় সব হাসপাতাল গুলোর একই অবস্থা । ২৬ শে ডিসেম্বর ২০২০, গত বছরের তুলনায় ২৫০০ কল বেশী গ্রহণ করেছে। এক দিনে ৮০০০ কল রিছিপ করা এবং সেই অনুযায়ী এম্বুলেন্স পাঠিয়ে রোগী এনে সেবা দিতে এক কঠিন সময় পার করছে এনএইচএস ও হাসপাতালগুলোর।
এনএইচএস সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়েছে যে ,এক; ৯৯৯ এ এত বেশী কল আসছে যে রিছিপ করে শেষ করতে পারছে না। নতুন করোনা ভাইরাসে অতিরিক্ত আক্রান্ত হচ্ছে। ১১১ কল করতে থাকলেও সেখানে একই অবস্থা। কল করে উত্তর পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। দুই ; আর্জেন্ট , ক্রিটিকাল, মরোনাপন্য রোগী সেবা থেকে বন্চিত হচ্ছে তিন; এনএইচএস নতুন করোনা রোগীর চাপ সামলাতে পুরোপুরি হিমসিম খাচ্ছে।