যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি স্বাক্ষরের পর এর পরবর্তী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির সংসদ সদস্যরা। যুক্তরাজ্যের সংসদীয় ভোটের পর চুক্তিটি পাস করানো জন্য হাউজ অব কমন্সে একটি বিল নিয়ে আসা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে এ খবর নিশ্চিত করে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ জন্য তার মন্ত্রিসভা ও পার্লামেন্ট সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি এখন আমাদের দেশ ও দেশের মানুষের উপর নির্ভর করছে। এই দেশের ভাগ্য এখন আমাদের হাতে।’ তবে বিরোধীরা বলছেন, ইইউতে থাকাকালীন দেশটি এখনো খারাপ অবস্থায় থাকবে।
বড়দিনের ছুটির পর যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট বসার পর বিলটি উত্থাপন করা হয়। পরে বিলটির পক্ষে ৫২১ ভোট দেন সদস্যরা। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৭৩টি। এতে করে কোনো সমস্যা ছাড়াই ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিটি পাস হয়।
ইউকে পার্লামেন্টে লেবার পার্টির এমপি সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারা বিলটির পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। তবে, এর আগে দলটির নেতা স্যার কেইর স্টারমার ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে বলেছিলেন, কোনো চুক্তি না হওয়ার চেয়ে এমন চুক্তিও ভালো। অবশ্য পরে এ চুক্তিকে হালকা ও দুর্বল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে গণভোটের সাড়ে চার বছর পরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চূড়ান্তভাবে বের হয়ে যাচ্ছে ৪৭ বছর একসঙ্গে থাকা বৃটেন। হাউস অব লর্ডসও বিলটি পাস করেছে, এখন এটি বৃটিশ রাণীর সম্মতি ও গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে।
সর্বসম্মতভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রেক্সিট-উত্তর বাণিজ্য চুক্তি অনুমোদন দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে তা অনুমোদন দেওয়ায় নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে।
চুক্তি হলেও অভিযোগ আছে ব্যাপক। ব্রিটিশ জেলেরা এ চুক্তির মাধ্যমে ইইউর কাছে তাদেরকে বিকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ৮০ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকারী সেবা খাতকে কোনো গুরুত্বই দেওয়া হয়নি।