প্রতারণার মাধ্যমে নিকটাত্মীয়ের ১ কোটি ২১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮১টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা প্রতারণা মামলায় আহমদ আলী (৪৮) নামের এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের জ্যুডিসিয়েল প্রথম আদালদ ও আমলী আদালত নং ৩, বিশ্বনাথ সিলেট-এ হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক সুলেখা দে তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা আহদ আলী উপজেলার সিঙ্গেরকাছ পশ্চিম গাঁওয়ের মৃত খোয়াজ আলীর ছেলে।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৩জুন প্রবাসী আহমদ আলীকে একমাত্র আসামি করে সিলেটের সিনিয়র জ্যুডিসিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে ১কোটি ২১লাখ ৫৯হাজার ৫৮১টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন আহমদ আলীর নিকটাত্মীয় একই গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব আবারক আলী। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। পরবর্তিতে আদালতের নির্দেশে ২৪জুন বিশ^নাথ থানায় প্রতারণা মামালা রজ্জু করা হয় (মামলা নং ১৮)।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ২০২০ সালের ৫অক্টোবর মামলার বাদী আবারক আলীর টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় প্রবাসী আহমদ আলীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকার ক্রাইম ব্রাঞ্চের ‘সিআইডি’ কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান। এর একমাস পর তথ্য গোপন করে আবারও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ওই বছরের ২২ নভেম্বর চার্জশীট হয়নি উল্লেখ করে হাইকোর্টে আগাম জামিনের এফিডেভিট করেন এবং ৮ ডিসেম্বর ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন প্রবাসী আহমদ আলী। এরই ভিত্তিতে চলতি বছরের ৬জানুয়ারি সিলেটের চীফ জ্যুডিসিয়েল ম্যাজিষ্ট্রেট কাওসার আহমদের আদালতে হাজিরা দিলে বিচারক তার জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। আর এ বিষয়টি জানতে পেরে চার্জশীট হাওয়ার পর আগাম জামিন নেওযার বিধান নেই মর্মে হাইকোর্টে জামিন খারিজের জন্য আবেন করেন মামলার বাদী আবারক আলী। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আসামি আহমদ আলীকে ১৪ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন। আর রোববার আদালতে হাজিরা দিলে আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।