মোঃ রেজাউল করিম মৃধা: কভিড-১৯ মহামারির পর যুক্তরাজ্যে শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে শতকরা মাত্র ০.৮% অথচ লিভিং কস্ট বা জীবনজীবিকার খরচ বেড়েছে শতকরা ৭% এরও বেশী। লিভিং খরচ নিয়ে হতাশায় ভুক্তভোগী হচ্ছেন শ্রমিক সহ জনসাধারন। আয়ের সাথে ব্যায়ের এই পার্থক্য কিভাবে পূর্ন করবেন। শ্রমিকের ক্রমাগত অভাবের কারণে নিয়োগকর্তাদের বেতন বাড়াতে হচ্ছে।তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য।
যুক্তরাজ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, পেট্রোল, কাউন্সিল ট্যাক্স এবং পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম। বেতনের সাথে জিনিসপত্র এবং হাউজিং এর খরচ বহুগুনে বেশী। কভিডের কারনে এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে এর পর চড়া দাম দিয়ে কিন্তে হচ্ছে খাদ্যদ্রবের সাথে আনুষংগিক বিল। এ যেনো মরার উপর খড়ার ঘা।
দি অফিস ফর ন্যাশনাল স্টাটিজ ONS এর তথ্যমতে শতকরা ৪.১% লোক আন ইমপ্লয়মেন্ট , জব ভ্যাকান্সি সহ এমনিতেই কাজের সমস্যা রয়েছে।
নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে চাকরির শূন্যপদের সংখ্যা আরও ১.৩ মিলিয়নের রেকর্ডে পৌঁছেছে, ওএনএস বলেছে, বেশিরভাগ শিল্পে নিয়োগ করা কঠিন বলে মনে হচ্ছে।
সিবিআই-এর লোক ও দক্ষতা বিষয়ক পরিচালক ম্যাথিউ পার্সিভাল বলেন”সুসংবাদ হল যে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে চলেছে এবং দুঃসংবাদটি হল ব্যবসাগুলি নিয়োগের জন্য সংগ্রাম করছে এবং বেতন মূল্যস্ফীতি বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে”।
খাদ্য সহ নিত্যপণ্যের ক্রমবর্ধমান ব্যয় ডিসেম্বর থেকে ১২ মাসে মূল্যস্ফীতিকে.৫.৪% বাড়িয়ে দিয়েছে। ও এন এস বলেছে যে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে প্রকৃত মজুরি এক বছরের আগের তুলনায় কমেছে।
ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সতর্ক করেছে যে শ্রমিকদের উপর এই চাপ আরও খারাপ হবে, মুদ্রাস্ফীতি এই বছর ৭% এর উপরে বাড়বে।














