ফয়সাল শরীফঃ সাতকানিয়ার ১৭ ইউনিয়নসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে চরমভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা নিখুঁত সনদপত্র দেয়ার পর ও নির্বাচন কমিশনের প্রদানকৃত কার্ডে একটা না একটা ভুল থেকে যায়। এরপর ও ভুক্তভোগীরা সংশোধনের জন্য পুনরায় আবেদন করার পর আবার অন্য একটি বাক্যে ভুল কিংবা কার্ডে না তুলে পরিচয়পত্র তৈরী করা হয় বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নতুন ভোটার হওয়ার সময় ভোটার’রা সঠিকভাবে ফরম পুরণ করেন। যারা নিরক্ষর তাদের ফরম পুরণ করেন তালিকা প্রণয়নে দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা।
জানা যায় তালিকা প্রণয়নকারী ও অফিসের কম্পিউটার অপারেটরের ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে ভোটারদের। তাও একবার নয় বারংবার হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। বর্তমানে কার্ডটি অতিগুরুত্বপূর্ণ হলে ও নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব নিয়োজিত ব্যক্তিদের খোমখেয়ালীপনা ও দায়িত্বহীনতার কারনে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটা বর্তমানে শিশুদের ব্যাঙের খেলায় পরিণত হয়েছে। এরফলে মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি দেশ বিদেশী মুদ্রা অর্জনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। বেকায়দায় পড়েছে চাকুরী প্রার্থীরা ।কারণ এ কার্ডের অভাবে মানুষ যেমন আবেদন করতে পাচ্ছেন না তেমনি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে ও পাসপোর্ট বানাতে পারছেন না। সূত্রমতে অনলাইন পদ্ধতিতে ও ভুক্তভোগীরা সংশোধনের জন্য সব সুবিধা পাচ্ছেন না। সূত্রমতে সংশোধনের চাহিত একটি বাক্য লিখলে অন্যটি কেটে যায়। ফলে সংশোধনে কর্তৃপক্ষের চাহিদাকৃত টাকা পরিশোধ করে ও কার্ড পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। তাছাড়া কর্তৃপক্ষ যে অনলাইন আবেদন করে কার্ড ইস্যু করেছে তাতে দেখা যায় আগে ঠিক ছিল এমন বাক্য ও পরে কার্ডে আর তুলেনি। তাদের এসব ইচ্ছাকৃত ভুলে এলাকার মানুষ আর কত হয়রানী ও খেসারত দিবে তা প্রশ্ন হয়ে দাড়িঁয়েছে। জানা যায় জনগণের সেবা ও দেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে সরকার এ দপ্তরটি খুলেছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হতে চলেছে। কিন্তু তারা প্রতিমাসে নিয়মিত বেতনভাতা উত্তোলন করলে ও সেবার নামে মানুষকে হয়রানী করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে । উল্লেখ্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত এক ব্যক্তির কার্ডে তিনবারে তিন রকম লিখা হয়েছে। এতে তার সময় ও টাকার অপচয় হয়েছে। তিনবারে ও তার জাতীয় পরিচয় পত্র ঠিক না হওয়ায় সময় অর্থের পাশাপাশি ভোগান্তির ও শিকার হয়েছেন। তারা বেতনভোগী কর্মকর্তা কর্মচারীরা হয়ে ও সেবা না করে উল্টো খবরদারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তারা দায়িত্বে অবহেলা ও উদাসীনতার পরিচয় দিলে ও কোন জবাবদিহিতা নাই বললে ও চলে। তাদের নগদ নারায়ণ না দিলে হয়রানী করা হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এমন ও অভিযোগ রয়েছে অফিসের দরজা বন্ধ করে মানুষ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। অবস্থাদৃষ্টিতে এলাকার মানুষের ধারণা হয় চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর ও পিয়নদ্বয় হাল জগতের নবাবের বংশধর। ফলে নতুন ভোটার ও ভুল কার্ডধারীরা কবে নাগাদ এসব হয়রানী থেকে রক্ষা পাবে তা বলাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।এব্যাপারে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।














