জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের ‘হত্যা’র প্রতিবাদ, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীন সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ধারাবাহিক গণসমাবেশ করছে। প্রথম গণসমাবেশটি হয় গত ১২ অক্টোবর, চট্টগ্রামে। এরপর ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরে (বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগ) গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। এর মধ্যে ময়মনসিংহ ছাড়া বাকি সব স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ময়মনসিংহে গণসমাবেশের দিন ‘অঘোষিত’ ধর্মঘটে গণপরিবহন বন্ধ ছিল।
পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট বিভাগীয় শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম জানান, সিলেটের সব কটি পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি প্রদানসহ চার দফা দাবিতে সিলেট জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ধর্মঘট ডেকেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা সাড়ে তিনটা থেকে নগরের টিলাগড়, লামাবাজার, আম্বরখানা ও দর্শনদেউড়ি থেকে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল নিয়ে পৃথক চারটি মিছিল নগরের চৌহাট্টা এলাকায় জড়ো হয়। পরে চারটি অংশ একত্রে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘোরে।
ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ এবং মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ। চৌহাট্টা এলাকায় অবস্থানকালে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। এ সময় তাঁরা বলেন, বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে ছাত্রলীগের কোনো বক্তব্য নেই। তবে কর্মসূচি পালনের নামে শান্তিপ্রিয় সিলেটকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করলে ছাত্রলীগ রুখে দাঁড়াবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির কর্মসূচি তারা পালন করুক, এতে সমস্যা নেই। তবে কর্মসূচির নামে সিলেটকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে ছাত্রলীগ জবাব দেবে, এটা বোঝাতেই কয়েক হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে শহরে বের হয়েছিলেন তাঁরা।















