ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজসহ অন্যান্য সরকারি পদক্ষেপে ঘাটতির কথা স্বীকার করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
গত সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুর্কি সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এই সমালোচনার মুখে গতকাল বুধবার সরকারি পদক্ষেপে কিছু ত্রুটি থাকার কথা এরদোয়ান স্বীকার করে নেন।
এরদোয়ান গতকাল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এই স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে কাহরামানমারাস ও হাতায়। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোর মধ্যে এগুলো অন্যতম।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উদ্ধারকাজ চালাতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। জিন্দারিস, সিরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে এরদোয়ান তাঁর সরকারের পদক্ষেপে ঘাটতি থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অবশ্যই, কিছু ত্রুটি রয়েছে। পরিস্থিতি স্পষ্ট।’
তবে এরদোয়ান এ কথাও বলেন, এই ধরনের দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে তুর্কি সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ১৮ ব্যক্তিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
গত সোমবার সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। তুরস্কের স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কাহরামানমারাস শহর পরিদর্শন গিয়ে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান
ভূমিকম্পে দুই দেশে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। তুরস্কে নিহত ১২ হাজার ৮৭৩। সিরিয়ায় ৩ হাজার ১৬২ জন।
উভয় দেশে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অজ্ঞাতসংখ্যক মানুষ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভূমিকম্পের তিন দিন পেরিয়ে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত মানুষ উদ্ধারের সম্ভাবনা কমে আসছে।