সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তেলিগাঁও(কৃষ্ণতলা) গ্রামে ধর্ষণে তরুণী (১৮) অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযুক্ত ধর্ষণকারী সুমনকে আটক করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের থানা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহিরপুর থানার এস আই অপূর্ব কুমার সাহা সঙ্গী ফোর্স নিয়ে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
আটক সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই অপূর্ব কুমার সাহা জানান, আটকের পর অভিযুক্ত ধর্ষণকারীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
মামলার অভিযোগপত্র ও তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর বাবা ও তার ছোট ভাই ফেরি করে সবজি বিক্রি করে। তার মা ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ করেন। গত ১ জুন সকালে প্রতিবেশী সুমন পাল ওই তরুণীকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এরপরও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। মাস খানেক আগে ওই তরুণী অসুস্থ হলে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় বিষয়টি ধরা পরে। এবং পরিবারকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। এদিকে পারিবারিকভাবে ওই তরুণীকে সিলেটে বিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ায় ওই তরুণীর বিয়ে ভেঙ্গে যায়। এরপর তার পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্যদের বিষয়টি অবগত করলে অভিযুক্ত সুমন পাল ওই তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি হয়। পরে তার সহযোগীদের নিয়ে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি করতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গ্রাম থেকে পালিয়ে যায় সুমন।
এ ঘটনার অভিযুক্ত সুমনকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় সুমনের ছোট ভাই সুবেদ পালকে (১৯) আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করে অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী বাবা। পরদিন আদালতে জবানবন্দী দেয় তরুণী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তেলিগাঁও (কৃষ্ণতলা) গ্রামের কয়েকজন বলেন, এই ঘটনাটি সারা এলাকার মানুষ জানে। সুমন পাল প্রভাবশালী হওয়ায় কেউই কোন কথা বলেনি। এই ঘটনার জন্য মেয়েটার বিয়ে ভেঙ্গেছে। সুমনের পরিবার বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করে।