মো: রেজাউল করিম মৃধা : ব্রিটেনের ব্যাস্ততম হিথ্রো এয়ারপোর্টে যাত্রীদের দূর্ভোগ চরমে।শত শত যাত্রী ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে অপেক্ষা কিন্তু মিলছেনা এর সমাধান।দীর্ঘ লাইন ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে অনেক যাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পরেছেন তারপরও মনে হচ্ছে দেখার কেউ নেই।
হিথ্রো এয়ারপোর্টে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা স্বল্প সংখ্যক হওয়ায় কাজ করে সামাল দিতে না পারায় সমালোচনার মুখে পরছেন সেই সাথে যাত্রীরা অগ্রহণযোগ্য সারি করে দীর্ঘ সময় ধরে দাড়িয়ে আছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিতে শুক্রবার রাতে পশ্চিম লন্ডন এয়ারপোর্টে অনেক দীর্ঘ সারি দেখা গেছে, যেখানে ভ্রমণকারীরা বা যাত্রীরা কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করার অভিযোগ করেছেন।
হিথরোর একজন মুখপাত্র বিলম্বের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, কিন্তু অভিবাসনে পর্যাপ্ত কর্মী না দেওয়ার জন্য এয়ারপোর্টে কর্মী বাহিনীকে দায়ী করেছেন।
সেই সাথে হিথ্রোতে ভ্রমণকারীরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অপর্যাপ্ত বায়ুচলাচল সহ দীর্ঘ সারি সম্পর্কে অভিযোগ করেছিল যে লোকেরা অপেক্ষা করার সময় অনেক যাত্রী অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল।
একজন টুইটার ব্যবহারকারী বলেছেন: “টার্মিনাল ৫ এর আগমনে জনাকীর্ণ এবং বায়ুচলাচল না থাকার কারণে লোকজন ভেঙে পড়ছে। কিছু কোভিড সুরক্ষিত ব্যবস্থা আরেকজন বললেন: “হিথ্রো টার্মিনালে ভয়াবহ কেটলিং আজ রাতে আসে। কোন সীমান্ত বাহিনী নেই। বায়ুচলাচল নেই। আগুন নেই। কোন ব্যাখ্যা নেই। সেখানে এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে রাখা হয়েছে। মানুষ অজ্ঞান হয়ে গেছে। আতঙ্কিত কঙ্কাল হিথ্রো গ্রাউন্ড টিম কি করবে বুঝতে পারছে না।”
কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারির সময় এমনিতেই যাত্রীরা থাকেন আতংকে সবাই চায় সামাজিক দূরত্ব এবং সাবধানে চলাফেরা করতে সেখানে যদি এয়ারপোর্টের কড়িডোর পথে যেখানে পর্যাপ্ত আবহাওয়া বা বায়ু যাতায়াতের পূর্ন ব্যাবস্থা নেই সেই খানে দীর্ঘ সময় যাত্রীরা লাইনে থাকলে ভালো মানুষ ও অসুস্থ্য হয়ে পরার আশংকা থাকে।
হিথ্রো এয়ারপোর্ট কর্মকর্তাদের শুধু ক্ষমা চেয়ে নয় উন্নত যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই যাত্রীরা নিরাপদে নির্ভিজ্ঞনে যাতায়াত করতে পারবেন।