ছাতক প্রতিনিধি : কৃষিকে ঘিরেই সন্তুষ্টি ৫ যু্বক । দিনের পর দিন যত্নে লালিত প্রিয় ফসলটি যখন সফলতার মুখ দেখে তখন কৃষকের মুখে হাসি ও আনন্দ।
তেমনি ৫ জন কৃষক ৫ রঙের তরমুজ চাষ করে পেয়েছেন সফলতা। যখন ফুল থেকে তরমুজ ধরতে শুরু করে, ঠিক তখনই বাঁশ দিয়ে তিন ফুট উঁচু মাচা তৈরি করা হয়। মাচার নিচে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিও। নেটের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখা হয় তরমুজগুলোকে।
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক শিল্পনগরী উপজেলার কালারুকা ইউপির
গোবিন্দগঞ্জ ছাতক সড়কের তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন এলাকায় সোয়া একক অনাবাদি জমিতে ৫ জাতের হাইব্রিড তরমুজ চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন তারা।
একই মাঠে ৫ রঙের তরমুজ চাষাবাদ করেছেন
গোন্ডেন ত্রুাউন (গোল)বাইরে হলুদ ভিতর লাল,ডায়না (লম্বা)ইয়েলো হানি,বাইরে কালো ভিতর হলুদ,থাই সুইট ব্লাক ২ বাইরে কালো ভিতর লাল,বাংলালিং নামে পরিচিত বাইরে ডোরাকাটা ভিতর লাল,কালো, হলুদ এবং সবুজ ডোরাকাটাসহ ৫ রঙের তরমুজ চাষাবাদ করছেন ।
সবচেয়ে বেশি সফলতা পেয়েছেন হাইব্রিড ল্যনফাই জাতের তরমুজে। এ জাতের তরমুজের রঙ সবুজ ডোরাকাটা, এর ভেতরে হলুদ রঙের সুস্বাদ যুক্ত। অন্যান্য তরমুজের তুলনায় এটি অধিক মিষ্টি। উত্তম পরিচর্যায় একেকটি তরমুজের ওজন হচ্ছে আড়াই থেকে ৩ কেজি।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের সাবিকভাবে পরামশ দিয়ে
আধুনিক পদ্ধতিতে এখানে তরমুজের চাষাবাদ করা হয়। চাষাবাদকৃত তরমুজের ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।
প্রায় সোয়া একর জায়গা জমিতে গোল্ডেন ক্রাউন, ইয়োলো হানি, থাই সুইটসসহ পাঁচটি জাতের তরমুজ চাষাবাদ করেছেন এলাকার পাঁচ যুবক।
উন্নত জাতের এসব তরমুজের চাষাবাদে খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাগানের তরমুজ বিক্রি করে প্রায় ৬ লাখ টাকা আয় হবে বলে ধারণা করছেন উদ্যোক্তারা ৫ যুবক।
গত শনিবার সকালে সরেজমিন সবুজ তরমুজ বাগান ঘুরে দেখা যায়,মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে হলুদ কালো ডোরাকাট রঙের ফল। লাউ, কুমড়োর মতো ঝুলছে ফল। এটি বিদেশি তরমুজের মাচা। পতিত জমিতে বাঁশের মাচার ওপর নেটের ছাউনি দিয়ে সোয়া একর অনাবাদি জমিতে একেকটি তরমুজের ওজন এখন ২ কেজি থেকে আড়াই কেজি। ৩ ও ৪ দিন পর তরমুজগুলো পরিপুষ্ট হবে বলে জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান।
জানা যায়, তরমুজ চাষের মূল উদ্যোক্তা হচ্ছেন গড়গাঁও গ্রামের আশরাফুর রহমান। এক সময় তরমুজ অনাবাদি জমিতে চাষাবাদের উদ্যোগ নেন তিনি। তার সঙ্গে যুক্ত করেন স্থানীয় রামপুর গ্রামের আব্দুর রহমান, শেখকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলাম, রায়সন্তোষপুর গ্রামের নাঈম আহমদ ও একই গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান সাকিব।
আশরাফুর রহমান জানান, নিজ অথায়নে পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজের বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগের পরামশ নিয়ে আমরা লাভবান হওয়ার আশাবাদী রয়েছে।
উপজেলার সবুজ ঘেরা তরমুজ বাগান দেখতে প্রতিদিন দুরত্ব এলাকা থেকে শ`শ`নারী পুরুষ শিশুরা ভিড় করেছেন সকাল বিকাল।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ তৌফিক হোসেন খাঁন বলেন, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ভিটামিনসমৃদ্ধ ফল তরমুজ। এলাকার স্থানীয় পাঁচ তরুণ উদ্যোক্তার তরমুজের বাগান দেখে অনেকেই বেকার যু্বকরা আগ্রহী হয়েছেন।##