তিমির বনিক,মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: এক হাটে বাজার করবে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষ। এরই মধ্যে সে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাঘাট ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমলপুর (ধলই) সীমান্তে বর্ডার হাট চালু হচ্ছে।
রোজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বর্ডার হাট নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ সময় ত্রিপুরা রাজ্যের বাণিজ্য মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব, মৌলভীবাজার (শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জ)৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, ত্রিপুরার বিধায়ক পরিমল দেববর্মন, ধলাই জিলা পরিষদের সভাপতি রুবি গোপ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, ত্রিপুরার জেলা শাসক গোবেকার ময়ূর রতিলাল, ত্রিপুরার বাণিজ্য উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমানসহ দুই দেশের উর্ধতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বর্ডার হাট চালুর মধ্য দিয়ে ব্যবসার চেয়ে দুই দেশের মানুষের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক হৃদ্যতা বাড়বে এবং সোহাদ্ পূর্ন বন্ধুত্ব মৈত্রী তৈরি হবে।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এখন বাণিজ্যিক সম্পর্কে রূপ নিচ্ছে। যা এই দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।
কুরমাঘাট-কমলপুর সীমান্ত হাট মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে দুই দেশের নোম্যান্স ল্যান্ডে ২.৭২ একর ভূমিতে কুরমাঘাট-কমলপুর বর্ডার হাট নির্মাণ করা হচ্ছে। ভারতীয় রুপী হিসাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। হাটের বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে এবং ভারতের দিকে আরেকটি ফটক থাকবে।
সপ্তাহে একদিন মঙ্গলবার বসবে হাট। বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১.৩০টা থেকে বিকেল ২.৩০ পর্যন্ত হাটে বেচাকেনা করা যাবে। এই হাটে তৈরি পোশাক, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য, শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, মুরগি, শুঁটকি, সুপারিসহ ১৮ টি পন্য বেচাকেনা চলবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক জানান, সীমান্ত হাটের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা।
তিনি আরও বলেন, ‘বিজিবি’র যে মূল দায়িত্ব নিরাপত্তা, চোরাচালান প্রতিরোধ তা সার্বক্ষণিকভাবে বিজিবি মনিটর করে থাকবে। সীমান্ত হাটের আশপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসবাসরত জনগণ এই হাট থেকে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করার সুযোগ পাবেন।’