মো: রেজাউল করিম মৃধা: কভিড-১৯ বা করোনা মহামারিতে ব্রিটেন সরকার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সহ শ্রমিকদের যে সহযোগিতা দিয়েছেন সেটা প্রশংসনীয়। ব্রিটিশ সরকার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অনুদান দিয়েছে। তবে কভিডের এই কঠিন সময়ে ব্রিটেনের প্রায় ৩ ভাগের ২ ভাগ ব্লাক এ্যান্ড এশিয়ান প্রতিষ্ঠান বর্ণ বৈষম্যের কারনে সরকারি গ্রান্ট, ব্যাংক লোন সহ নানা সুবিধা থেকে বন্চিত হয়েছে।
অল পার্লামেন্টারী গ্রুপ ( এপিডিজি এন বিএমই ) বিজনেস এর এক রিপোর্টে এই তথ্য এসেছে। এপিপিজি এর নির্বাহী মেম্বার ও ইউকে কারী কানেক্ট এর সিইও মুসলাক উদ্দিন বলেন,”শুধু সরকারী সুবিধা নয় ব্যাংক গুলিও বিএমই ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুবিধা বন্চিত করেছে।সাথে বৈষম্যের শিকার হয়েছে”।
গবেষনায় দেখা গেছে অংশগ্রহনকারী ৫০০ বিজনেসের ৬৮ পার্সেন্ট সরাসরি প্রতাখ্যাত হয়েছে।আবার কঠিন নাতিমালার কারনে সরকারী সুযোগ সুবিধার জন্য আবেদনই করতে পারেন নাই।
এপিপিজি গ্রুপের এক এডভাইজার বলেন ,” বৈষম্যের কারনে যে সব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সরকারী গ্রান্ট পাই নাই উপযুক্ত প্রমান নিয়ে আদালতে যেতে পারবেন এ জন্য অল পার্লামেন্টারী গ্রুপ সব ধরনের সহযোগিতা করবে,”।
দি ব্রিটিশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের চেয়ার পারসন ডা: চান্দ নাগপাউল বলেন,” শুধু যে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের গ্রান্ট নিয়ে বৈষম্য তা নয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বৈষম্য চলে আসছে।দুইজন ডাক্তার সমান পজিশনে থেকে ও বছর শেষে বেতনের ব্যাবধান হবে কমপক্ষে £১০,০০০ পাউন্ড। তিনি দু:ক্ষু করে বলেন,” ২১ সেন্চুরিতে এসেও এই বর্ণ বৈষম্য এটা মেনে নিতে কস্ট হয়,”।
করোনাভাইরস মহামারি কালে গ্রান্ট বিতরনে এই বৈষম্যের কারনে বহু বিএমই ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে । বর্ণ বৈষম্য শিকার হয়ে গ্রান্ট না পেয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। এতে যেমন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকারও রাজস্ব আয় থেকে বন্চিত হবে। বাড়তে থাকবে বেকারত্বের সংখ্যা।