ইংল্যান্ডের সামার এলেই চমৎকার আবহাওয়ার সাথে সামার হলিডে ঘুরে বেড়ানোর এক মহা সুযোগ।সারা বছরের কাজে ব্যাস্তাতার মাঝে সামারে ছুটি নিয়ে পরিবারের সাথে দূরে বহু দূরে অন্য কোথাও ঘুরে দেখার সাধ প্রতিটি মানুষের।
এবারের সামার হলিডে ইংল্যান্ড এ থাকবো কেননা মাত্র কয়েক মাস পূর্বেই বাংলাদেশ থেকে ঘুরে এসেছি।কোথায় যাবো সেই স্থান খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলাম সাউথ সামার সেট ডিস্ট্রিকের এর চমৎকার স্থান ল্যাংপোর্ট । তিন দিনের কোটেজ ভাড়া।
সামার টাইমে সব স্থানেই ভাড়া বেশী। তারপরও বেড়াতে তো হবেই। সেই হিসেবে ল্যাংপোর্ট বেশী নতুনত্ব মনে হয়েছে। ইংল্যান্ডের একবারে সাউথ ইস্ট এর প্রায় শেষ প্রান্ত।
লন্ডন থেকে ১৭৬ মাইল সময় লাগবে চার ঘন্টারও বেশী কিন্তু আমাদের লেগেছে প্রায় ৫ ঘন্টা পথিমধ্যে দুই বার যাত্রা বিরতি। নতুন টাউনে যাবার পথে কখনো উঁচু পাহাড়, কখনো সমতল কখনো আঁকাবাঁকা পথে, মাঠ প্রান্ত, গাছপালার মাঝ দিয়ে যেতে যেতে মনের অজান্তেই গেয়ে উঠে।
“গ্রাম ছাড়া ঐ রাজ্ঞামাটির পথ আমার মন ভূলায় রে”।
বাংলাদেশের গ্রামের সাথে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। গ্রাম সব সময় গ্রাম তবে এখানে রাস্তাঘাট উন্নত। ছোট হোক, বড় হোক রাস্তাঘাট সহ সব ধরনের অফিসিয়াল ফেসিলিটিজ সাথে শপিং ব্যাবস্থা তো আছেই।
সাউথ সামার সেট ডিস্ট্রিকের ছোট্ট টাউন ল্যাংপোর্ট। জনসংখ্যা ১০৮১জন আয়োতন মাত্র মাইল বা ৮ কিলোমিটার। কিন্তু এখানে নাগরিক সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান।ব্যাংক পোস্ট অফিস, টেস্কো সুপার মার্কেট সহ চাইনিজ , জাপানিজ এবং ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট। যদিও ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট হিসেবে পরিচিত কিন্তু মালিক বাংলাদেশী, খাবার এবং পরিচালনা সবাই বাংলাদেশী। সেই রেস্টুরেন্টে একরাতের ডিনার।
সব মিলিয়ে সুন্দর ও পরিপার্টি এই ছোট্ট টাউন। নতুন সবসময় নতুন। তাই নতুন স্থান গুলি দেখার আনন্দই আলাদা।
তবে এই টাউনে একটি সমস্যা রাতে নেমে আসে সুনসান নিরবতা।দিনের আলোয় যতটা আলোকিত। সূর্য ডুবার সাথে সাথে রাতে নেমে আসে অলসতা। সবাই যে ঘরে ফেরার ধূম।
সেই কবিতার মতো
সন্ধ্যা নেমে এলো বেলা গেলো ঐ
কোথা গেলো হাঁস গুলি , থৈ থৈ।
টাউনের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী সেখানে হাঁস জোট বেঁধে খেলা করছে। নির্দিষ্ট কিছু স্থানে আবার নৌকায় চড়ে মানুষ এদিক থেকে সে দিকে যাচ্ছে। এই এক মহা আনন্দ।