বাংলাদেশের হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৭ পরিচালককে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত বীমা কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয় থেকে গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃতদের সবাইকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান জামাল মিয়া, পরিচালক আবদুর রব, পরিচালক কামাল মিয়া, পরিচালক আবদুর রাজ্জাক, পরিচালক আবদুল আহাদ, পরিচালক জামাল উদ্দিন মকদ্দুস এবং পরিচালক আবদুল হাই।এরা সবাই বিলেতে বাংলাদেশী কমিউনিটির সফল ব্যবসায়ী। দেশে বিদেশে তাদের রয়েছে অনেক গুলো সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ।গ্রেফতারের সংবাদ টি দেশের বিভিন্ন কাগজে প্রচারিত হলেও বিলেতের গন মাধ্যমে তেমন একটা চোখে পড়েনি। জামাল মকদ্দুস নিজ এলাকায় একজন দানশীল ব্যক্তিই নন এলাকার শিক্ষা বিস্তারে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ছাতক থানার নিজ গ্রামে জামাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়। সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরে অদূরে ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের তিনি অন্যতম উদ্দ্যোগতা পরিচালক।
গ্রেফতারকৃত পরিচালকদের সবাই যু্ক্তরাজ্য প্রবাসী হলেও এ নিয়ে তাদের পরিবার পরিজন ছাড়া কারো মধ্যে কোন উৎকন্ঠা নেই। তাদের মধ্যে জামাল মিয়া ও কামাল মিয়া এবং আবদুল আহাদ ও আবদুল হাই পরস্পর সম্পর্কে আপন ভাই। মতিঝিল থানা সূত্র জানিয়েছে মাগুরায় দাঁয়ের কৃত একটি মামলায় তাদের কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।যে কারনে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন ।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, হোমল্যান্ডের মধ্যেকার নানা অনিয়মের ব্যাপারে এসব প্রবাসী পরিচালকরা সোচ্চার হলে তাদেরকে শায়স্তা করতেই সাজানো মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।এমন ভাবে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে যাতে উইক এন্ড সামনে থাকায় তাদের জেলহাজতে থাকতে হয় ক’দিন। সরকার বিভিন্ন সময়ে প্রবাসীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে নানা উদ্দ্যোগ নেন কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো দেশে বিনিয়োগ করে সম্মানিত প্রবাসীরা যখন নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হন তখন কিন্তু এসবের কোন প্রতিকার নেই। এই ঘটনাটি তারই প্রমান। জামাল মকদ্দুস একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠনের সংঙ্গ জড়িত হলেও কাউকে এব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি । কোম্পানির যে কোন অনিয়মের দায় ভার প্রথমত কোম্পানী যারা ডে টু ডে পরিচালনা করেন যেমন চেয়ারম্যান, এমডি, জিএম, তাদের ঘাড়ে বর্তায় কিন্তু হোমল্যান্ডের বেলায় কেন এমন ব্যতিক্রম যার কারনে কোম্পানীর শুধু মাত্র ৭ জন প্রবাসী পরিচালককে গ্রেফতার করা হলো ? যা রীতিমতো রহস্যজনক।