২০০২ সাল থেকে ব্রিটেনে ডোমেস্টিক ওয়ার্কার বা গৃহকর্মী ভিসা প্রথম চালু করা হয় । যদিও ইমিগ্রেশন রুলস “গৃহকর্মীদের” সংজ্ঞায়িত করে না, এই রুট সাধারণত ন্যানি, au pairs,(বা অবিবাহিত যুগল যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে ), ক্লিনার, ব্যক্তিগত চালক,শেফ , ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধায়ক এবংসিকিউরিটি কর্মীদের বুঝায়। ব্রিটিশ সরকার বলছেন যে এই রুট ইইএ নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত হবে যারা আগামী ১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে যুক্তরাজ্যে আসবেন । যারা এর আগে যুক্তরাজ্যে চলে এসেছেন তাদের ইইউ সেটেলমেন্ট স্কীমের অধীনে আবেদন করতে হবে।
ডমেস্টিক ওয়ার্কার রুট বছরের পর বছর ধরে বেশ কিছু পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ২০১২ সালে এসেছে। নন-ইইএ ডমেস্টিক সাহায্যকারী বা হেল্পার যারা এপ্রিল 2012 আগে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন তারা ভিসা বৃদ্বি এবং স্থায়ী হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারতেন । কিন্তু এটি পরিবৰ্তন করে মাত্র ছয় মাসের জন্য ভিসা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু যারা ২০১২ সালের আগের ভিসায় আছেন তারা আগের নিয়মে স্থায়ী হতে পারবেন।
(তিন) তাদের নিয়োগকর্তা অবশ্যই একজন ব্রিটিশ অথবা (বর্তমানে) একজন ইইএ নাগরিক হতে হবে, যিনি সাধারণত ব্রিটেনের বাইরে বাস করেন এবং ছয় মাসের মধ্যে ফিরে আসতে চান না।
যদি এইসব শর্ত পূরণ না হয় তা হলে ভিসা এপ্লিকেশন রিফিউজ হতে পারে।
ইমিগ্রেশন আইন বলা হয়েছে যে আবেদনকারীদের কমপক্ষে ১৯ বছর বয়সী হতে হবে, (যদিও কেসওয়ার্কার নির্দেশিকায় ১৮ বছর বলা হয়েছে )। আবেদনের আগে অন্তত এক বছর গৃহকর্মী হিসেবে আবেদনকারীর চাকুরী অবশ্যই তাদের নিয়োগকর্তার মত একই ছাদের নিচে অর্থাৎ মালিকের বাড়িতেই থাকতে হবে। , অথবা মালিকের অন্য পরিবার যাদের সাথে তার নিয়মিত সম্পর্ক আছে। নিয়োগকর্তাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, উনি এই গৃহ কর্মীকে বেতন পরিশোধ করেছেন। যেটি পে-স্লিপ বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দ্বারা প্রমাণিত হতে হবে ; প্রদত্ত ট্যাক্স নিশ্চিতকরণ; প্রদত্ত স্বাস্থ্য বীমার নিশ্চিতকরণ; চাকুরীর চুক্তি। যে দেশে গৃহকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে তার জন্য ওয়ার্ক ভিসা, রেসিডেন্স পারমিট বা সমতুল্য পাসপোর্ট অনুমোদন; অথবা ভিসা অথবা পাসপোর্ট অনুমোদন নিশ্চিত করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন তাদের নিয়োগকর্তার জন্য কাজ করতে হবে এবং অবশ্যই তার সাথে ভ্রমণ করতে হবে।
আবেদনকারী এবং তাদের নিয়োগকর্তা কে যুক্তরাজ্যে কর্মসংস্থানের লিখিত, শর্তাবলী তে সম্মত হতে হবে। এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আবেদনকারীকে জাতীয় ন্যূনতম বেতন আইন ১৯৯৮ অনুযায়ী বেতন প্রদান করা হবে। এবং এই আইনের ইমিগ্রেশন রুলস-এর এপেন্ডিক্স ৭-এ বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী বেতন প্রদান করা হবে। যদি এন্ট্রি ক্লিয়ারেন্স বা ইমিগ্রেশন অফিসার সন্তুষ্ট না হন সে ক্ষেত্রে তাদের আবেদন বাতিল করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে । নিয়োগকর্তার কাছ থেকে একটি লিখিত এবং স্বাক্ষরিত পত্র প্রদান করতে হবে যে আবেদনকারী তার কর্মচারী এবং যে কাজ করবে তার জন্য তাকে জাতীয় ন্যূনতম বেতন বিধিমালা ২০১৫ এর ৫৭ নং অনুচ্ছেদের অনুযায়ী বেতন প্রদান করা হবে।, আবেদনকারীদের প্রমান করতে হবে যে তারা তাদের বর্ণিত কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে অংশ গ্রহণ করবেন না এবং সরকারী তহবিলের উপর নির্ভর হবে না।