মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর । গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়।৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে পেয়েছি আমাদের লাল সবুজের পতাকা এবং আমাদের নিজস্ব মানচিত্র এক খন্ড বাংলাদেশ ।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মহান দিবস বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। আর এ অর্জন একদিনে সম্ভব হয়নি। এর জন্য বাঙালি জাতির ছিল সুদীর্ঘ তপস্যা ,সাধনা,চেস্টা ,ঐক্যবন্ধ সংগ্রাম এবং মুক্তিযাদ্ধ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ই ডিসেম্বর আমরা পাকিস্তানীদেরকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করি। মহান স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে আশা নিরাশার মাঝে প্রতাশা এবং প্রাপ্তি অনেক। অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়েছে অনেক দূর। যেখানে বাংলাদেশকে বলা হতো “তলা বিহীন ঝুড়িঁ” আজ সেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। অর্থনীতিতে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে।
গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি এক সাফল্যের স্বারক, প্রবাসীরা হচ্ছে অর্থনীতি চাকা স্বচল রাখার অন্যতম শক্তি। ডিজিটাল পাওয়ার আমাদের এগিয়ে নিয়েছে অনেক খানি পথ। ৬শত হাজার আইটি ফ্রি ল্যান্স বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মান, রাস্তা ঘাটের ব্যাপক উন্নতি এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমল পরিবর্তন বাংলাদেশ আজ মহান উচ্চতায় উঠেছে। স্বাধীনতা পর আমাদের দেশ অনেক দুর এগিয়েছে।যোগাযোগ ব্যবস্থা তারমধ্যে অন্যতম।বাংলাদেশ মূলত গ্রামভিত্তিক দেশ। এ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাও তাই উন্নত দেশের মতো হওয়ার কথা নয়। কিন্তু অবিশ্বাস্য সাফল্যের সঙ্গে বর্তমান সরকার আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও এনেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। কী গ্রাম, কী শহর, দেশের সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে তাকালে আমরা দেখি, আমাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। বিশেষ করে, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ স্থাপনে যে কী কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে তা সবার জানা।
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক সফলতা এনেছে।তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই। শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দেশে তথ্যপ্রযুক্তিগত নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে, তাতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্বের। এক সময় বাংলাদেশ নামটির সঙ্গে যেভাবে দারিদ্র্য, অশিক্ষা, দুর্নীতি ইত্যাদি যুক্ত হয়ে পড়েছিল, তা বর্তমানে আর নেই বললেই চলে।
তবে এখনো রয়েছে অনেক ব্যার্থতা।রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ আমাদের ভবিষ্যত কে এক চ্যালেন্জের মুখে ঠেঁলে দিচ্ছে। বিচার বিভাগ থেকে জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস উঠে গেছে । ঘুষ দূর্নীতি এখন নিয়মে পরিনত হয়েছে।মানবাধিকার নেই বললেই চলে। কত টুকু বাঁক স্বাধীনতা আছে সে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। তারপরও সকল বাঁধা পেরিয়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যতটা উন্নত হয়েছে তারচেয়েও আরো উন্নত হতে পারতো। সরকার থেকে শুরু করে আমাদের সবাইকে এক সাথে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। বারবার ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে আমাদের ইতিহাস। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং যে দল যখন ক্ষমতায় এসেছে তাদের সুবিধা মত ইতিহাস রচনা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
বিংশ শতাব্দীতে যেখানে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমরা পিছিয়ে নেই।তবে দেশ স্বাধীন করার জন্য যে। সব বীর মুক্তিযাদ্ধারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। তাদের রক্তের ঋণ আমরা কি শোধ করতে পেরেছি? যে সব মা বোন দের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা তাদের জন্য কি করতে পারছি ? দেশের জন্য যারা অকাতরে আত্মাহুতি দিয়েছেন।সেইসব মহান ব্যাক্তিরা চেয়ে ছিলেন একটি সুন্দর সম্বৃদ্ধ সুখী সুন্দর সজলা সুফলা স্বাধীন দেশ তাদের আত্বা কি শান্তি পাচ্ছেন? রাজনৈতিক কারনে শুধু কাঁদা ছুঁড়াছুডি না করে সত্যকে স্বীকার করি। যার যেখানে অবস্থান, কাদের কাজের পূর্ন স্বীকৃতি দিয়ে দেশ সেবায় এগিয়ে আসি।অবশ্য রাজনৈতিক দলের বাইরে কিছু সামাজিক সংগঠন তাদের বক্তিতায় সাহস দুই নেতাকে স্বীকার করে বক্তিতা দেওয়ায় কিছুটা হলেও সত্য বেড়িয়ে আসছে।সত্য বলাতে শত্রুরা হয়তো তেরে আসবে তবে সত্যের কাছে অবশ্যই হেরে যাবে।
মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির জনক বংবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এমএজি উসমানী, আবদুল হামিদ খান ভাষানী,স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লক্ষ মানুষের আত্মদান, অগুনতি মা-বোনের সম্ভ্রম হারিয়েছেন তাদের এবং সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ।