যুক্তরাজ্যের একটি স্কুলে করোনা সংক্রমণের জন্য একটি বাংলাদেশি পরিবারকে দায়ী করা সেই প্রধান শিক্ষিকাকে অবশেষে চাকরি ছাড়তে হয়েছে। কারেন টড নামের সান্ডারল্যান্ডের ওই প্রধান শিক্ষিকা স্কুলের ব্রিটিশ বাংলাদেশি স্কুল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের চিঠি লিখে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছিলেন।
গত বছর নভেম্বরে লেখা ওই চিঠিতে প্রধান শিক্ষিকা যুক্তরাজ্যে লকডাউন চলার সময় ঘরোয়াভাবে বেআইনি বিয়ের আয়োজন, করোনা টেস্টের ফল পাওয়ার আগেই সন্তানদের স্কুলে পাঠানো, স্কুলগামী সন্তানদের অভিভাবকদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ট্যাক্সি চালনা ও রেস্টুরেন্টে কাজ করাকে দায়ী করেছিলেন।
চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, করোনায় তিনি ও তার শিক্ষকরা যখন শিশুদের জন্য ঠিক কাজটি করছেন, তখন তারা বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি ছোট অংশের অসচেতনায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন।
কারেন টডের এমন অভিযোগের ব্যাপারে প্রমাণ দেখাতে বলেন সদ্য নির্বাচিত স্কটিশ পার্লামেন্টের এমপি ফয়সল চৌধুরী। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী এই ব্রিটিশ রাজনীতিক হেড টিচার কারেন টডের মন্তব্যকে বর্ণবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
কারেন টডের ওই মন্তব্য যুক্তরাজ্যজুড়ে তীব্র সমালোচনার তৈরি করে। পাঁচ মাস স্কুলে অনুপস্থিত থাকার পর অবশেষে তিনি প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে শনিবার একাধিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সান্ডারল্যান্ডের রিচার্ড অ্যাভিনিউ প্রাইমারি স্কুলে কারেন টড গত ২৩ বছর একাধারে শিক্ষিকা হিসেবে পাঠদান করছিলেন। সর্বশেষ ১৮ বছর ছিলেন প্রধান শিক্ষিকা। তবে এ সপ্তাহে লিখিত পদত্যাগপত্রে কোনও কারণ উল্লেখ করেননি কারেন টড।