নিউজ ডেস্ক : শোনা যাচ্ছে বরিস জনসন আগামী এপ্রিলের পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। কারণ তিনি মনে করেন তার বেতন খুবই কম। দাবি করেছেন টরি সংসদ সদস্যরা । প্রধানমন্ত্রী তার সহকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, তিনি তার বার্ষিক বেতনে ১৫০,৪০২ পাউন্ড বেতন অপ্রতুল। গত বছরের জুলাই মাসে শীর্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি আরো বেশী উপার্জন করতেন । প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কিছুদিন আগে, জনসন দ্যা টেলিগ্রাফে তার সংবাদপত্রের কলামের জন্য মাসে ২৩,০০০ পাউন্ড আয় করতেন। সে হিসেবেই তিনি বছরে লক্ষ লক্ষ পাউন্ড আয় করেন। মিরররের তত্ত্ব অনুযায়ী , শুধুমাত্র এক মাসে তিনি দুটি বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ১৬০,০০০ পাউন্ড পেয়েছেন।
কিন্তু হোয়াইটহল সূত্র বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী তার পদত্যাগ পত্র হস্তান্তরের আগে আরও ছয় মাস অপেক্ষা করতে চান, যাতে তিনি ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে পারেন । একজন সংসদ সদস্য বলেছেন যে জনসন তার ছয় সন্তানকে বড় করা এবং তার ছোট ছেলে উইলফ্রেডকে ইটন-এ পাঠানোর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন, যার দাম বছরে ৪২,৫০০ পাউন্ড। ‘বরিসের ছয়টি সন্তান আছে, যাদের আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন, বলেছেন কয়েকজন, সাংসদ। ‘আর বিবাহ বিচ্ছেদ চুক্তির অংশ হিসেবে তাকে প্রাক্তন স্ত্রী মারিনা হুইলারকে প্রচুর অর্থ দিতে হয়েছিল। নাম্বার ১০ ডাউনিং স্ট্রিট মেট্রোর এই দাবি অস্বীকার করেছে কিন্তু কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা প্রদান এবং সভায় উপস্থিতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। সংসদ সদস্যরা বিশ্বাস করেন যে জনসন তার পূর্বসূরিদের প্রতি ঈর্ষান্বিত, যেখানে থেরেসা মে গত বছর পদত্যাগ করার পর থেকে লেকচারের মাধ্যমে ১ মিলিয়ন পাউন্ডের ও বেশি আয় করেছেন। ডেভিড ক্যামেরন প্রতি বক্তৃতায় ১২০,০০০ পাউন্ড পান এবং টনি ব্লেয়ার বর্তমানে কনসালটেন্সি কাজ এবং বক্তৃতা দেওয়ার কারণে প্রায় ২২ মিলিয়ন পাউন্ডযায় করেন।
এখন দেখার পালা , ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন ।
সূত্র : ডেইলি মেট্রো