আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির দাতব্য ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে মামলার মুখে পড়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এবিসি’। সে মামলায় মেসির কাছে হেরে গিয়েছে মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি। যার ফলে লিও মেসি ফাউন্ডেশনকে ৭ হাজার ১৪২ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এর আগে আনসু ফাতিকে নিয়ে এক প্রতিবেদনে বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগ ওঠায় ক্ষমা চেয়েছিল স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এবিসি’। মাঠে দুর্দান্ত কিশোর তারকার প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি স্প্যানিশ গণমাধ্যম এবিসির জন্য লেখা ম্যাচ রিপোর্টে ফাতিকে ‘রাস্তার কৃষ্ণাঙ্গ ফেরিওয়ালা’ হিসেবে অভিহিত করে বসেন।
প্রতিবেদনের এমন ভাষা অনেকের কাছেই দৃষ্টিকটু ঠেকেছে। তার সতীর্থ আঁতোয়া গ্রিজমানের চোখ এড়ায়নি বিষয়টি। ফাতির পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি টুইট করেন, ‘আনসু অনন্য এক ছেলে, অন্যান্য সব মানুষের মতো তারও সম্মান পাওয়া উচিত। বর্ণবাদ ও বাজে আচরণের প্রতি “না”।’
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মেসির কাছে হার মানল সংবাদমাধ্যমটি। বার্সেলোনা তারকার ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমটি হিসাব গরমিল করে কর ফাঁকির অভিযোগ তুলেছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা ওঠার পর তার রায়ে আদালত এবিসিকে আইনি খরচসহ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পুরো অর্থ বার্সেলোনার সান্ত জোয়ান দে দেউ হাসপাতালে দান করবে কাতালান ক্লাবটি।
মেসির ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে সংস্থাটি এবং আর্জেন্টাইন তারকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে—এমন রায় দিয়েছে আদালত। ঠিকমতো খোঁজ-খবর না নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করার সমালোচনা করেছে আদালত, ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে নানা রকম শিরোনাম। এতে পাঠক ভেবে নেবে ফাউন্ডেশন এবং তার পরিচালক আরও কর ফাঁকি দিয়েছেন।’
গত বছর মেসি ফাউন্ডেশনের সাবেক কর্মী ফ্রেদরিকো রেতোরি এই সংস্থার বিপক্ষে কীভাবে জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন তা প্রকাশ করেছিল ইএসপিএন। তবে প্রমাণ না থাকায় এসব অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। এদিকে গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগে ফেরেৎসভারোসকে ৫-১ গোলে হারানোর পর ফাতিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন করে এবিসি। সেই প্রতিবেদনে ফাতিকে নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে।