চ্যাম্পিয়নস লিগে শাখতার দানেস্কের মতো অখ্যাত দলের বিপক্ষে হারের ক্ষত নিয়ে এল ক্ল্যাসিকো খেলতে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এমন ম্যাচে ছন্দে থাকা বার্সেলোনাকে হেসে খেলে হারিয়ে দিয়েছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
দুদলের খেলায় দেখা গেছে রোমাঞ্চকর জৌলুস। ভালভার্দের গোল দিয়ে শুরুতেই এগিয়ে যায় রিয়াল। তিন মিনিট পরেই গোল দিয়ে শুরুতেই বার্সা যেন বুঝিয়ে দেয় ন্যু ক্যাম্পের রাজা তারা। কিন্তু রামোসদের ক্ষিপ্রতার কাছে নিজেদের মাঠে রাজত্ব হারাতে হয়েছে শেষ পর্যন্ত। ৩-১ গোলে হেরে বিরস মুখে মাঠ ছেড়েছেন লিওনেল মেসিরা।
প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। দ্বিতিয়ার্ধে রামোসরা যেনো খোদ চিত্রনাট্য প্রস্তুত করে নেমেছেন; যা শুধু মঞ্চস্থ করা বাকি ছিলো। ৬৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রামোসই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন। আর লুকা মডরিচ শেষ সময়ে এসে বার্সার কফিনে ঠুকে দেন শেষ পেরেক। আজ শনিবার রাত ৮টায় ন্যু ক্যাম্পে শুরু হয় মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকোটি।
পরতে পরতে রোমাঞ্চ ছড়ানো এল ক্ল্যাসিকোয় রিয়ালের জয়ে কাজ করেছে ভাগ্যও। নাহয় রেফারি আমলে না নেওয়ার পরও প্রযুক্তি সহায়তায় (ভার) কীভাবে পেনাল্টি পায় রিয়াল? তাও আবার বার্সার ল্যাংলেট ফাউল করে বসেন রামোসকে। প্রথমে রেফারি আমলে না নিলেও ভারের সহায়তায় পেনাল্টি পেয়ে যায় অতিথিরা। পেনাল্টি বস রামোসই গোল দিয়ে এগিয়ে দেন দলকে। আর পেছনে তাকাতে হয়নি জিদানের শিষ্যদের। এগিয়ে থেকে বাকিটা সময় পার করে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে।
৯০ মিনিটে ভেলকি দেখান বদলি নামা লুকা মদ্রিচ। ভিনসিয়াস থেকে বল কেড়ে না নিতেই বার্সার নেতো থেকে বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন এই ক্রোয়েট। ডি বক্সে জেরাড পিকেদের ভেলকি দেখিয়ে সোজা জড়ান বার্সার জালে। কোম্যানের জয়ের স্বপ্ন গুড়োবালি করে দিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিজেদের ঝুলিতে নিয়ে নেন মদ্রিচরা। এদিন নিজেদের মাঠ হলেও মেসি ছিলেন বিবর্ণ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কৌতিনহোও যেনো নিজেকে হারিয়ে খুজছিলেন।
ছয় ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম স্থানে আছে বার্সেলোনা। লিগ জয়ের রেসে ফিরতে হলে মেসিদের ঘুরে দাড়াতে হবে খুব শীঘ্রই। নাহয় আবারও খালি হাতে মৌসুম শেষ করতে হবে।