ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনকে নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স। শনিবার এরদোগান মন্তব্য করেন, মুসলমান ও ইসলাম ধর্মের প্রতি মনোভাবের জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনের মানসিক চিকিৎসা দরকার। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে প্যারিসে অবস্থানরত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ফ্রান্স। বিবিসি।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্লাসে ইসলামের নবী হযরত মোহাম্মদের ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের জেরে এক মুসলিম উগ্রবাদীর হাতে ইতিহাস শিক্ষককে খুন হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত ফ্রান্স। ওই ঘটনার পর ‘ধর্মনিরপেক্ষ ফরাসি জাতীয়তাবাদ’-এর বিপরীতে ‘ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদী’দের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ম্যাক্রন। তিনি বলেছেন, এই বিচ্ছিন্নতাবাদ ফ্রান্সের মুসলমান সম্প্রদায়গুলোতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। ম্যাক্রনের এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, ‘ম্যাক্রনের মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। একজন রাষ্ট্রনায়ককে এর চেয়ে বেশি কী বলা যায়, যিনি বিশ্বাসের স্বাধীনতার বিষয়টি বোঝেন না এবং তার দেশে বসবাসরত ভিন্ন বিশ্বাসের লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে এই ব্যবহার করেন?
এরদোগানের এই ধরনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, ফ্রান্সে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে।
তুরস্ক ও ফ্রান্স উভয়ই পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। তবে দেশ দুটির মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরস্পরবিরোধী অবস্থান রয়েছে। এসব ইস্যুর মধ্যে রয়েছে সিরিয়া, লিবিয়া, পূর্ব ভূমধ্যসাগরের কর্তৃত্ব এবং নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের বিরোধ।