দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউন করাকে ‘পাগলামি’ হিসেবে অভিহিত করলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, পশ্চিমা ও লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। অনেক দেশের সরকার করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, করোনা উপেক্ষা করেই দেশটিতে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ভুগছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫৬ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণের দিক দিয়ে আমেরিকা ও ভারতের পরই রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে ৫৪ লাখ ৬৮ হাজার ২৭০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, ইউরোপে শীতের সঙ্গে জেঁকে বসেছে করোনাভাইরাসও। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কায় চলতি বছরের মার্চ মাসের মতো আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল গত বুধবার রাতে তার দেশে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ গত বুধবার রাতে এক ঘোষণায় আজ শুক্রবার থেকে আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে পুরোপুরি লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন। ইউরোপের অনেক দেশই কারফিউ বা লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। আবার ইউরোপের কোথাও কোথাও লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের শীতপ্রধান দেশগুলোয় করোনার প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, ইউরোপে করোনার এই উচ্চ সংক্রমণ বিভিন্ন দেশের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে সংকট সৃষ্টি করবে।