মো: রেজাউল করিম মৃধা: সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষনায় উঠে এসেছে ভিটামিন ডি করোনাভাইরাস রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
গবেষকদের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত বৃটিশ পার্লামেন্ট মেম্বার ড: রুপা হক। তিনি বলেন, “ভিটামিন ডি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,বয়স্ক রোগীদের জন্য বেশী কার্যকর ”
পাবলিক হেল্থ এজেন্সীর গবেষনায় ,ভিটামিন ডি বেশী প্রয়োজন।
১/ যারা কম সময় বাইরে যান।
২/ যারা কেয়ার হোম এ আছেন।
৩/ যারা জামা কাপড় দিয়ে শরীর বেশীর ভাগ সময় ঢেকে রাখেন।
৪/ যারা বেশী ক্ষন বাইরে থাকেন বা সূর্যের তাপ শরীরে লাগান তাদের জন্য ভিটামিন ডি প্রয়োজন নেই।
৫/ সামুদ্রিক মাছ, তেল যুক্ত খাবার খেলে তাদের ও ভিটামিন ডি ঔষধ প্রয়োজন নেই।
ভিটামিন ডি শরীরের চামড়া বা স্কীন এর জন্য বেশী জরুরী । এছাড়া হাড়ের জন্য, দাঁতের জন্য , মাংসপেশির জন্য এবং শরীরের প্রতিটি জয়েন্টের জন্য ভিটামিন ডি অতি প্রয়োজন। আর বর্তমানে করোনাভাইরাস রোগ প্রতিরোধে ও কার্যকর ভূমিকা পালন করছে বলে গবেষকদের দাবী।
ডাক্তারদের মতে ভিটামিন ডি ইমুনি সিস্টেম কে বাড়ায় এবং ইনফেকশনের সাথে ফাইট করে।
কুইন মেরী ইউনিভার্সিটি ও বাথ চ্যারিটি রেগুলার বোডি গবেষনায় বলা হয়েছে ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। প্রিন্সিপাল ডেভিড জুল্লিফ বলেন, “ভিটামিন ডি প্রটিয়ান সিয়াল ভাবে করোনা রোগ প্রতিরোধক”।
তবে মেডিসিন ইউনিভার্সিটি অফ লিভার পুলের প্রফেসর জন রোডিস বলেন,”করোনাভাইরাসের ক্ষত্রে ভিটামিন ডি সামান্য কার্যকর এবং দীর্ঘ সময় ধরে সেবন করলে সেটা শরীরের জন্য আরো ক্ষতিকর”।
এদিকে করোনাভাইরাস থেকে দেশের জনসাধারন রক্ষার জন্য স্কটিশ সরকার সবার জন্য ফ্রি ভিটামিন ডি সরবরাহ করছে।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে সুস্থ্য থাকতে নানামুখি চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্রিটেনের গবেষকরা।
কিভাবে মানুষ সুস্থ্য থাকবে?
কি করলে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে?
কি করলে রোগ প্রতিহত করা যাবে?
করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কার এবং বাজারে এসে সবার জন্য ব্যবহার প্রয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কিভাবে এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে ?
তারই একটি সহায়ক হিসেবে ভিটামিন ডি।
রোগ প্রতিরোধের প্রধান হচ্ছে ভ্যাকসিন আবিস্কার এবং বাজার জাত করা।
করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কার করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন গবেষকরা। তাদের ধারাবাহিক কাজের ফলে এবার ভ্যাকসিন বাজারে আসছে ২রা নভেম্বর ২০২০।
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধপ্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম চালান আগামী নভেম্বরে আসতে পারে। করোনাভাইরসের ভ্যাকসিন এলেই প্রাণে বেঁচে যাবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।