লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থল বন্দরে আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবী জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় আলামত সংগ্রহ, তদন্ত কার্যক্রম এবং জিজ্ঞাসাবাদ জারি রেখেছে পুলিশ। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে ইউনিয়ন পরিষদ, নিহতের পরিবার ও পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক মামলা করা হবে। এর আগে, ঘটনার প্রকৃত কারণ ও দোষীদের চিহ্নিত করতে আলামত সংগ্রহ, তদন্ত ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবদ চলছে।’ আজ শুক্রবার পাটগ্রাম থানায় আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই মসজিদে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। নিহত ব্যক্তি রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রি পাড়ার মৃত আবু ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন সুলতান জোবায়ের আব্বাস (৪৫) নামের আরও এক ব্যক্তি। তিনি একই এলাকার শেখ আব্বাস আলীর ছেলে, পেশায় দলিল লেখক।
লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘শহীদুন্নবীকে উত্তেজিত জনতা যখন ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে বের করে মারধর শুরু করে, তখন পুলিশ তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ সদস্যরাও আহত হন। তবে শহীদুন্নবীকে রক্ষা করা যায়নি। তবে তার সঙ্গে থাকা অপর ব্যক্তিকে পুলিশ উদ্ধার করে।’
এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে সবকিছু প্রক্রিয়াধীন। প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে।’