আনোয়ার হোসেন রনি: ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : ছাতকে সরকারি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় ৩২টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সাবেক ইউপির চেয়ারম্যান শামছুদ্দীন কাচা মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি খাস রাস্তাটি বন্ধের অভিযোগের এ ঘটনায় উপজেলাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে সাবেক চেয়ারম্যান শামছুদ্দীন কাচা মিয়া ও কৃষক আতিকুর রহমানের লোকজনদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সরকারি রাস্তাটি বন্ধ করায় পরিবারগুলো এক মাস ২১ দিন ধরে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে,গত ১৩সেপ্টেম্বর সহকারি কমিশনার (ভুমি)বরাবরে উপজেলার ছৈলাআফজলাবাদ ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের মৃত আব্দুল করিম পুত্র আতিকুর রহমান,আছদ্দর আলীর পুত্র শুকুর আলী,মৃত আজব আলীর পুত্র জমসর আলী, মৃত আব্দুল্লাহ পুত্র আমিনুল ইসলাম ও মৃত সফর আলীর পুত্র আব্দুর রহমানসহ ৪জন বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । এ অভিযোগে কোন সুরাহা না পেয়েই গত ৪ অক্টোবর উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার বরাবরে একই রাধানগর গ্রামের মৃত আব্দুল করিম পুত্র আতিকুর রহমান বাদী হয়ে ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শামছুদ্দীন কাচা মিয়াসহ ৪জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি গোপাটের উপর নিমানকৃত দেয়ালের কাজ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাবার পরই সাবেক চেয়ারম্যান কাচা মিয়া আবারো প্রভাব বিস্তার করে চলাচলের জন্য একটি মাটির ও পাকা সড়কের রাস্তায় পাকা দেয়াল নির্মাণ করে বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। এতে পুরো রাস্তাটি বন্ধ করায় ৩২টি পরিবাব অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানায়,পুরো রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ছিল ৬শ’ ফুট ও প্রস্থ ১৮ ফুট। দেশ স্বাধীনতার পর থেকে ওই সব পরিবার রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে আসছে। হঠাৎ গত ১৩ সে্েপ্টম্বর সাবেক চেয়ারম্যান কাচা মিয়ার নেতৃত্বে সরকারি খাস ভুমি উপর রাস্তাটিতে একটি পাকা দেয়াল নির্মাণ বেড়া দেয়া হয়। এসব পরিবারগুলো বাধা দিতে গেলে তিনি পাকা রাস্তার ৩শ’ফুট মধ্যে ইট বালু সিমেন্ট দিয়ে পাকা বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। কৃষক ও শ্রমজীবি কোনো রাস্তা না থাকায় ৩২টি পরিবারের সদস্যরা চরম বেকায়দায় পড়েছে।
অবরুদ্ধ একটি পরিবারের সদস্য মছরব আলী জানান ৩২টি কৃষক পরিবারের সদস্যর বিভিনড়ব হাওরে একমাত্র ৬শ’ফুট রাস্তার মধ্যে ৩শ’ফুট পাকা রাস্তায় জোর পুবর্ক দখল করেছেন। সরকারি খাস ভুমি উপর রাস্তা দিয়ে প্রায় ৫০বছর ধরে বসবাস করে আসছে বলে অভিযোগ করেন। ।হঠাৎ করে সাবেক চেয়ারম্যান কাচা মিয়া তাঁর জমি দাবি করে রাস্তটি দখল করে রাস্তার মধ্যে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে বেড়া দেয়া ঘটনা ঘটায়।তারা এক মাস ২০ দিন ধরে চলাচলে আমরা বেকায়দার মধ্যে রয়েছি। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। এ নিয়ে এলাকায় কয়েকটি সালিস বৈঠক অনুষ্টিত হয়। অবরুদ্ধ পরিবার গুলো হচ্ছেন,এনামুল হক,সাদিকুর রহমান,ইকবাল হোসেন,শহীদ আহমদ,মনর আলী,মুহিবুর রহমান,সুহেল আহমদ,আকিকুর রহমান,মিজানুর রহমান,ফারুক আলী আব্দুল কাহার,আব্দুল সামাদ,আব্দুল মালিক,আরজ আলী,আছদ্দর আলী আফতাব আলী সহ ৩২টি পরিবার অবরুদ্ধ।
সাবেক চেয়ারম্যান শামছুদ্দীন কাচা মিয়া সঙ্গে একাধিক বার তার মোবাইলে যোগাযোগ করলে ও তার মোবাইলের রিং হচ্ছে। কিন্ত কেউ মোবাইল ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে এসআই মহসিন জানান, গ্রামে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মান নিয়ে এক পক্ষের বাঁধা দেয়ার লিখিত অভিযোগে পর ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুরো বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাটি বন্ধ না করতে সাবেক চেয়ারম্যান কাচা মিয়াকে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি শোনেননি। এব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভুমি) তাপস শীল জানান,অভিযোগ প্রাপ্তির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মাঠে সাভেয়ার পাঠিয়ে তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনার তদন্ত করে দেখা গেছে সরকারি খাস জায়গা আংশিক সাবেক চেয়ারম্যান শামছুদ্দীন কাচা জবর দখল করে পাকা দেয়াল নিমান করা হচ্ছে। তবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার প্রস্তার পাঠানো হয়েছে। অনুমোদি আসলেই এ অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হবে।