যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। সে তালিকায় বাংলাদেশসহ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা রয়েছেন। তবে বাইডেনের জয়ে এখন পর্যন্ত ‘চুপ’ রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি এখন পর্যন্ত কোনো টুইট করেননি কিংবা টেলিফোন করেও নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানাননি।
বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে বাইডেন বিজয়ী হওয়ার ঘটনায় ক্রেমলিন এখন পর্যন্ত নীরব।
গত শনিবার নিশ্চিত হয়ে যায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। এ খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই বাইডেনকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বিশ্বনেতারা। তবে বাইডেনের জয়ের ব্যাপারে প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বা তার সরকার এখন পর্যন্ত চুপ আছে।
তবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি একেবারে ‘চুপ’ নেই। দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভির সবচেয়ে আলোচিত-বিতর্কিত সংবাদ উপস্থাপক দিমিত্রি কিসেলভ মার্কিন নির্বাচন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। তিনি তার সাপ্তাহিক নিউজ শোতে দর্শকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘মার্কিন নির্বাচনী ব্যবস্থা ডাইনোসরের মতো সেকেলে। আমি এটাকে গণতান্ত্রিক বলতে পারি না।’
দিমিত্রি কিসেলভ আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের দ্বারা গণহারে ভোট কারচুপির কথা বলেছেন। তিনি বলছেন, তার কাছ থেকে জয় কেড়ে নিতে প্রতারণামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে ট্রাম্প যে তার অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি, সে কথা এড়িয়ে যান উপস্থাপক দিমিত্রি কিসেলভ। পশ্চিমাবিরোধী অবস্থানের জন্য সংবাদ উপস্থাপক দিমিত্রি কিসেলভের নাম রাশিয়ায় বেশ আলোচিত।
দিমিত্রি কিসেলভের সবশেষ মন্তব্যকেও ‘বিতর্কিত’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের সমালোচনা করেছেন। দিন কয়েক আগে হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট গণনা নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছিলেন। এ সময় বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল একযোগে তার বক্তব্য সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়।
এ ঘটনার সমালোচনা করেছেন দিমিত্রি কিসেলভ। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা আমাদের শেখানোর চেষ্টা করেছিল। এখন সেই শিক্ষকই তালগোলের মধ্যে।’ দিমিত্রি কিসেলভের এসব বক্তব্যের উদ্দেশ্য মার্কিন গণতন্ত্রকে খোটা করে দেখানো। অন্যদিকে রাশিয়ার নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থা যে ভালো, সে সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করা, বলছে বিবিসি।