
স্বাস্থ্যই সম্পদ। সুস্বাস্থ্য সকল সুখের মূল ছোট বেলায় পাঠ
সূচিতে উপদেশমূলক এই বাক্য পড়েন নি এমন মানুষ খুজেঁ পাওয়া সত্যি কঠিন। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মানুষ আনন্দচিওে তার নিত্যদিনের সব কাজ করতে পারেন। কেননা শরীরের সঙ্গে মানব সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাস্থ্য ভালো থাকা মানে মন ভালো থাকা। স্বাস্থ্য নিয়ে এসব বলার পিছনে কারণটা অবশ্যই সহজেই অনুমেয়। এখন প্রশ্ন হলো আমরা কতটা স্বাস্থ্যই সচেতন।
কিছু মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হলেও কিন্তু অধিকাংশই স্বাস্থ্য সচেতন নয়। আজকে আমরা স্বাস্থ্য সচেতন নই বলে অল্প বয়সে বড় বড় রোগ শরীরে বাসা বাধে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ডিপ্রেশন,কিডনির সমস্যা, রক্তচাপ, মানসিক রোগ, হতাশা, ভুলে যাওয়া, পিঠে ব্যথা , গেষ্টিক ,ভিটামিন ডি স্বল্পতা ইত্যাদি রোগে আমরা কমবেশি আক্রান্ত হয়ে থাকি। এই সমস্ত রোগ থেকে কিছুটা পরিত্রান পেতে হলে শরীরের ওজন একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখা উচিত। সেই সীমা নির্ভর করে দৈহিক উচ্চতা ও শরীর গঠনের ওপর। ইদানিং মানুষের মাঝে মোটা হবার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মূল কারণ হলো অধিক ভোজন, বেশি ফ্যাটযুক্ত খবার খাওয়া, ব্যায়াম ও ঘুম কম হওয়া ইত্যাদি।
অনেক পরিবার আছে নামীদামি ফাস্টফুড রেষ্টুরেন্টে খেয়ে নিজেদেরকে খুব বাহাদুর মনে করে। কিন্তু এটা যে শরীরের জন্য কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত একটু আমাদের ভাবার দরকার আছে । অনেক মায়েরা বাচ্চা হওয়ার পর মোটিয়ে যায় বিভিন্ন কারণে। একটা সময় বাচ্চা লালন পালন,সংসারের কাজ ও বাকি লোকজনের কথা চিন্তা করতে করতে নিজের প্রতি যত্ন নিতে অলস হয়ে যায়। আবার অনেক মায়েরা আছে বরই অভিমানি পরিবারে একটু সমস্যা হলেই না খেয়ে নিজেকে কষ্ট দেয়। হতাশায় ভোগে,পানি কম খায়,রাতে ঘুমায় না এজন্য শরীরের অনেক ক্ষতি হয়।
একটা পরিবারকে সুস্থ রাখতে হলে, একজন মায়ের সব দিকে সচেতন হতে হবে এবং সেই সাথে পরিবারের সকলের সাপোর্ট থাকতে হবে। শুধু সংসারের কাজের জন্য নয়, একজন নারীর শিক্ষিত হওয়া খুব গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা ইচ্ছা করলেই জীবনটাকে সুস্থ ও সতেজ করতে পারি।এর জন্য দরকার আত্মবিশ্বাস,মনোবল,ও মানসিক শক্তি।
তাই আমাদের ওজন কমাতে হলে যা কিছু করতে হবে,,,,,,,,,(১) কাজের সাথে রুটিন মিলিয়ে খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম ঠিক রাখতে হবে।(২)পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।(৩) সয়াবিন তেল, ডোবা তেলে ভাজা পোড়া খাবার বাদ দিতে হবে।(৪) বাহিরের ফাস্টফুড, চাইনিজফুড,যে কোন ধরনের প্রসেসফুড খাবার বাদ দিতে হবে।(৫) ফিজি ড্রিংকস, সুগার, ডেজার্ট, কেক সবধরনের মিষ্টান্ন খাবার বাদ দিতে হবে। (৬) শর্করা জাতীয় খাবার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।(৭) রেডমিট, আরও অনেক খাবার আছে জেনে বুঝে খেতে হবে (৮)ঘি দিয়ে ভাজা ডিম, বাদাম খাওয়া যাবে।(৯) সামুদ্রিক মাছ,শাকসবজী,ভিটামিন সি যুক্ত সবধরনের ফল খাওয়া যাবে। (১০) প্রতিদিন খালি পেটে কুসুম গরম লেবু পানি বা আপেল সাইডার ভিনেগার খাওয়া যাবে।(১১)ডাবের পানি, অ্যালোভেরা, ইসবগুলের ভুষি, কালিজিরা, সবধরনের সালাদ খাওয়া যাবে। (১২) শরীরের কন্ডিশন বুঝে ব্যায়াম করতে হবে যেমন ইয়োগা, সাইকেলিং, সুইমিং যোগব্যায়াম,পিলাটি, ইত্যাদি।(১৩)বেশি বেশি হাসতে হবে,সবুজ প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে হবে।(১৪) প্রতিদিন আট ঘন্টা করে ঘুমাতে হবে।(১৫) নিজের মনের ইচ্ছাকে দাম দিতে হবে এবং সময় দিতে হবে। (১৬) সপ্তাহে দুইদিন রোজা রাখতে হবে। যারা ওজন কমাবেন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ও ওজনটা আগে মেপে নিবেন। আমি এইভাবেই ওজন কমিয়েছি। আমি যখন শুরু করেছিলাম তখনছিলাম ৮৩ কেজি। এখন আমি ৫৫ কেজি। তিন মাসে ২৭ কেজি কমিয়েছি এবং অনেক রোগ থেকে মুক্ত হয়েছি শুধু JK LlFESTYLE ফলো করে। এই সময়ে আমার হাজবেন্ডের ভালো সাপোর্ট পেয়েছি । আমার এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার একমাএ কারন হলো অন্যজনকে অনুপ্রাণিত করা।
লেখক: মনজুয়ারা মনি
লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশী,
নারী মানবাধিকারকর্মী ,
ফ্যাশন ডিজাইনার, নারী উদউদ্দ্যুক্তা ও কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট ম
নজুয়ারা মনি’র#JK LIFESTYLE.