ছাতক প্রতিনিধি: ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশী কল্যাণ সমিতি সুনামগঞ্জ শাখা এর উদ্যোগে ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশীদের জন্য কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ আদায় ও প্রত্যাগত উত্তরসুরীদের কুয়েতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সায়মা সাদীমহল সেন্টারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক কাচা মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলার জাপার নেতা আবুল লেইছ মোহাম্মদ কাহার,ছাতক প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রনি, আ’লীগ নেতা আকবর আলী,দুদু মিয়া.আবু ফয়েজ,সিরাজ মিয়া,আছবর আলী,ফরিদ আহমদ ও আবু সিদ্দিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৯০ সালে ইরাক-কুয়েত যুদ্ধের কারণে ৭২ হাজার বাংলাদেশী কুয়েত ও ইরাকের ব্যাংকে জমানো অর্থ, সম্পদ, ব্যবসা ও মূল্যবান জিনিসপত্র, এমনকি কর্মস্থলে বকেয়া বেতন রেখে নিরাপত্তার স্বার্থে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। যুদ্ধ শেষে অল্পসংখ্যক বাংলাদেশী পূর্বের কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারলেও অধিকাংশই দেশে বেকার জীবন যাপন করছেন। জাতিসংঘ যৎ সামান্য ক্ষতিপূরণ দিলেও কুয়েত সরকার এখন পর্যন্ত কোন ক্ষতিপূরণ দেয়নি।
গত মে মাসে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী আল-মোবারক-আল-হাসান-আল সাহাব বাংলাদেশ সরফরকালে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ সেলিম উদ্দীন তার নিকট ক্ষতিপূরণ ও উত্তরসুরীদের কর্মসংস্থানের দাবী উত্থাপন করলে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আবেদন করলে বিবেচনা করা হবে বলে আশাস্ব প্রদান করেন। তাই কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক প্রতিশ্রুতি কাজে লাগিয়ে কুয়েত প্রত্যাগতদের ক্ষতিপূরণ আদায় ও উত্তরসুরীদের কর্মসংস্থানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশী কল্যাণ সমিতি সুনামগঞ্জের নেতৃবৃন্দ।