চিফ রিপোর্টার আকরামুল হুসাইনের রিপোর্টঃ ব্ল্যাক এশিয়ান এথনিক মাইনরিটি বা বিমিই কমিউনিটি করোনাকালীন সময়ে বেশী ভুক্তভোগী কেন এবং এর প্রতিকার বিষয়ক সেমিনার অনুস্টিত হয় ২৪শে নভেম্বর মংগলবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় ইংল্যান্ড পার্লামেন্ট এর এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে যোগ দেন বিভিন্ন কমিউনিটির নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। ক্যাম্ব্রিজের এমপি ড্যানিয়েল জাইচনারের আহবানে ও ক্যাম্ব্রিজ এথনিক মাইনরিটি ফোরামের চেয়ার নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও তত্তাবধানে এতে বক্তব্য রাখেন লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, রুপা হক এমপি, বার্নলী মেয়র ওয়াজিদ খান, ওল্ডহাম কাউন্সিলের ডেপুটি লিডার কাউন্সিল আব্দুল জব্বার, কাউন্সিলর বায়জু ভার্কে তিতিয়ালা কেমব্রিজ, ক্রয়েডন কাউন্সিলের প্রাক্তন মেয়র হুমায়ন কবির, কাউন্সিলর ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ ডেপুটি লীডার নিউহাম কাউন্সিল, কাউন্সিলর মঈন কাদেরী বারকিং ডেগেনহাম, ব্রেন্ট কাউন্সিলের প্রাক্তন মেয়র পারভেস আহমেদ, কাউন্সিলর এলিছা মেছচিনি, কাউন্সিলর জেবিরা হুসেন, জন লেহাল, কাউন্সিলর আনসার আলী পিটারবরাহ কাউন্সিল, ওয়েলস সিটি কাউন্সিলর আলী আহমেদ আলেক্স মেয়ার সাবেক ইঊরোপিয়ান পার্লামেনট সদস্য কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান সহ ইংল্যান্ডে বিভিন্ন মসজিদ প্রতিনিধি, আইনজীবি রাজনৈতিক, সামাজিক এ চ্যারিটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বি্টিশ সংসদীয় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এ সেমিনারের প্রধান উদ্দেশ্যে হচ্ছে বিএমই কমিটির নানা বিষয়ের সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরা এবং এর সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা। করোনার এই সময়ে বিএমই কমিউনিটিতে কেন সবচেয়ে ভুক্তভোগীর সংখ্যা এ নিয়ে শংকিত উপস্থিত নানা সংগঠনের বক্তারা। এ সময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন বিএমই কমিউনিটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিষ্যমের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে হাউজিং সমস্যা, সাস্থ্য সমস্যা, বেকারত্ব চরমভাবে বেড়ে যাওয়া, নিম্ন আয়ের মানুষের অর্থনৈতিক বেহাল দশা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়েও আলোচনা করা হয়। এসময় আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন ইউ কে বিসিএর সভাপতি এম.এ.মুনিম, বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রীর প্রধান উপদেস্টা শাহগীর বখত ফারুক, ইস্ট লন্ডন মসজিদের ডাইরেক্টর দেলোয়ার হুসেন খান, এডিনবার্গ এবং লোথিয়ান আঞ্চলিক ইকুয়ালিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ফয়সল চৌধুরী এমবিই, নিউ হোপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই, ডা: আলাউদ্দিন ডক্টক কাল করিম, সহ সাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যোগ দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জিপি ডা মোশাররফ হোসেন, ডা. মোহাম্মদ আমিন। ডা: সুলতানা কুদরা, ডা: আহমেদ, ইমাম আল মহসিন সহ আরও বিভিন্ন পেশার লোকজন।
এনহেইচ এস ইংল্যান্ডের রিপোর্টে বিএমই হেলথ নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা হচ্ছে কভিড-১৯ এর মধ্যে বেঁচে থাকার বিশ্লেশনে দেখা গেছে যে লিঙ্গ, বয়স, বঞ্চনা এবং অঞ্চলের প্রভাব হিসাব করে সাদা ব্রিটিশ নৃ-গোষ্ঠীর লোকদের তুলনায় বাংলাদেশী নৃ-গোষ্ঠীর লোকেরা মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় দ্বিগুণ। হোয়াইট ব্রিটিশদের তুলনায় চীনা, ভারতীয়, পাকিস্তানি, অন্যান্য এশীয়, ক্যারিবিয়ান ও অন্যান্য কৃষ্ণজাতীয় লোকের মৃত্যুর ঝুঁকি 10 থেকে 50% বেশি। তাছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্টে বিএমই কমিউনিটির উপর যে বৈষম্য হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়েছে এবং বৈষম্যের মাত্রা বিএমই ডাক্তারদেরকেও ছাড়েনি। আর তাই এ বিষয়ে ব্রিটিশ সংসদে এর জোরালো আলোচানা করা উচিৎ বলে জানান যোগ দেওয়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।