রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার একটি পুলিশ কর্মকর্তা গুণে গুণে ঘুষ নিচ্ছেন, এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর উপজেলার তাহেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হারুনুর রশীদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। টাকা গুণে প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার সিসিটিভির ওই ফুটেজ থেকে করা ভিডিওটি করোনার শুরুতে লকডাউনের সময়ে ধারণ করা বলে জানা গেছে।
লকডাউনের সময় দোকানপাট খুললেই এএসআই হারুনকে ঘুষ দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল বলে অভিযোগ আছে। তবে এএসআই হারুন অবশ্য এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, করোনাকালে লকডাউনের সময় তাহেরপুর বাজারের একটি মোবাইল ফোনের দোকানে ঢুকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এএসআই হারুন। সিগারেট মুখে তিনি দোকানদারের সঙ্গে দরকষাকষির পর দুই হাজার টাকা ঠিক করেন। পরে টাকা গুণে দেখে তিনি আরও এক হাজার টাকা দাবি করেন। পুরো টাকা নিয়েই তিনি চলে যান।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর এএসআই হারুনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এসপি আরও জানান, ঘটনা তদন্তে একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে সত্যতা মিললে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।