মো: রেজাউল করিম মৃধা: ৫ই ডিসেম্বর ২০২০ , শনিবার বিকাল ৫.০০টায় লন্ডনের এমএএইচ লন্ডন টিভির নিয়মিত টক শো “মৃধা শো” তে স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধের স্মৃতিচারন করতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবীর ওসমানী ট্রাস্ট ইউকের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু কাশেম খান বলেন, এম এ জি ওসমানীকে অনেক সময় খাটো করে দেখা হয়। বেশীরভাগ অনুস্ঠানে তাকে সেনাপতি বলে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি বাস্তবে শুধু সেনাবাহিনীর প্রধানই ছিলেন না তিনি ছিলেন তিন বাহিনীর সহ অন্যান্য মুক্তি বাহিনীর ও প্রধান। এবং তিনি ছিলেন মুক্তিবাহিনীর সর্বাধীনায়ক। তাই যেখানে ওসমানীর নাম আসবে সেখানে অবশই তাকে যথাযত সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।বাংলাদেশের সকল পাঠ্য পুস্তুকে এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেব তাঁর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
সেই সাথে তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের পরেই ওসমানীর নাম অন্তর্ভুক্তি করা হোক। মুক্তিযুদ্ধে এম এ জি ওসমানীর অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তাকে সেই ভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তাকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে।এম এ জি ওসমানীর মূল্যায়ন না করলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অপূর্ন থেকে যাবে।ওসমানী ছিলেন গেরিলা যুদ্ধের প্রণেতা। তার তীক্ষ্ণ যুদ্দ্ব পরিকল্পনায় মাত্র নয় মাসে আমরা স্বাধীন হয়েছি। এটা বিশ্বের এক ঐতিহাসিক নজির।
তিনি আরো বলেন,” আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি ভাতা পাওয়ার জন্য নয়। আমরা আমাদের সঠিক মূল্যায়ন ও সম্মান টুকু চাই”।
তিনি বলেন,” অনেক স্থানেই এম এ জি উসমানীর নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। এই সব নাম পরিবর্তনের প্রতি তিনি তীব্র নিন্ধা জানান”।
মো: রেজাউল করিম মৃধার উপস্থাপনায় “মৃধা শো” এ পর্বে অতিথি ছিলেন মুক্তিযাদ্ধা আবুল কাশেম খান এবং আবৃত্তি শিল্পী, সংবাদ পাঠক ও সংগঠক মুনিরা পারভীন।