যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানি বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছে যাবে। বৃদ্ধ, স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের সেবায় নিয়োজিতদের প্রথম ধাপে টিকা দেওয়া হবে। পরে বিভিন্ন অঞ্চলের ক্লিনিকগুলোতে তা বিতরণ করা হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ব্রিটেনে ১৭ লাখের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। করোনার প্রকোপে সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৬১ হাজারের বেশি রোগী। এখন দৈনিক সংক্রমণ গড়ে ১৫ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সামনে থেকে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছেন যারা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই দেশটির প্রধান লক্ষ্য। তাই জরুরি পরিস্থিতিতে ফাইজারের তৈরি প্রতিষেধক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে ফাইজারের টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। দেশটির ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসের (এনএইচএস) তত্ত্বাবধানে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম সপ্তাহেই ব্রিটেনে ৮ লাখ ডোজ টিকা দেশটিতে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেলজিয়াম থেকে টিকা পৌঁছে গেছে।
১৪ ডিসেম্বর থেকে সাধারণ মানুষের উপর প্রয়োগের জন্য ক্লিনিকগুলিতে প্রতিষেধক সরবরাহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
টিকা প্রদান শুরু হতে চললেও, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে তাদের প্রতিষেধক কতটা কার্যকর, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা।
তবে নিরাপদে প্রতিষেধক মজুত রাখায় বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। কারণ ফাইজারের তৈরি প্রতিষেধকটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রাখা প্রয়োজন। সাধারণ যে রেফ্রিজারেটর, তাতে পাঁচ দিন রাখা যায় ওই প্রতিষেধক। ব্যবহারের কয়েক ঘণ্টা আগে সেগুলি বার করে ডিফ্রস্ট করে নেওয়া প্রয়োজন।
অন্য দিকে, শনিবার থেকে ‘স্পুটনিক-ভি’ প্রতিষেধকের বিতরণ শুরু করছে রাশিয়া। চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ না হলেও, মস্কোর ৭০টি ক্লিনিকে প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে।